ডিজিটাল ইনফ্লুয়েন্সার ভিটোর ব্রুনো: নিরাষাশী জীবনধারার প্রচার

ডিজিটাল ইনফ্লুয়েন্সার ভিটোর ব্রুনো বর্তমানে তাঁর নিরামিষ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রচারের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছেন। টিকটক, কোয়াই, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে তাঁর প্রায় ২.৪ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে, যেখানে তিনি নিরামিষবাদ এবং সুস্থতা সম্পর্কে তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ২০১৮ সালে পরিবেশগত ও স্বাস্থ্যগত মূল্যবোধ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভিটোর নিরামিষ জীবনধারা গ্রহণ করেন। পরের বছর, তিনি এই দর্শনকে সহজভাবে বোঝানোর জন্য হাস্যরসের সাথে নিরামিষ জীবনধারার তথ্য মিশ্রিত করে কন্টেন্ট তৈরি করা শুরু করেন।

তাঁর কন্টেন্টে শিম, ফল, বাদাম এবং সবজির উপর ভিত্তি করে রেসিপি, কেনাকাটার ভ্লগ এবং ধ্যান অনুশীলনের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। তিনি ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির মতো সাধারণ উদ্বেগগুলিও তুলে ধরেন, যা বিশ্বব্যাপী একটি সাধারণ সমস্যা। ভিটোর সফলভাবে আট কিলোগ্রাম পেশী ভর বৃদ্ধি করেছেন, যা নিরামিষাশীরা পেশী তৈরি করতে পারে না—এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে নিরামিষ জীবনধারা গ্রহণের পর থেকে তাঁর স্বাস্থ্যের সূচকগুলি ইতিবাচকভাবে উন্নত হয়েছে।

ভিটোরের সক্রিয় উপস্থিতি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিস্তৃত: টিকটকে তাঁর ১.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার, কোয়াইতে ৫৩০,০০০, ইনস্টাগ্রামে ৩৭০,০০০ এবং ইউটিউবে ২৭৫,০০০ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি সংক্ষিপ্ত ভিডিও, ভ্লগ এবং বিস্তারিত রেসিপি শেয়ার করেন। ভিটোরের প্রধান লক্ষ্য হলো মানুষের খাদ্যাভ্যাসকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করা, তাদের নিজস্ব খাদ্য পছন্দের উপর নির্ভর না করে। তিনি বিশ্বাস করেন যে প্রত্যেকেই আরও সচেতন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা থেকে উপকৃত হতে পারে।

তাঁর এই প্রচেষ্টাগুলি প্রমাণ করে যে নিরামিষ জীবনযাপন কেবল পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী এবং সক্রিয় জীবনধারার দিকেও পরিচালিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৭৫%, জল দূষণ ৫৪% এবং ভূমি ব্যবহার ৭৫% হ্রাস করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে নিরামিষ প্রোটিন, যেমনটি ভিটোর তাঁর কন্টেন্টে প্রচার করেন, পেশী তৈরি এবং পুনরুদ্ধারের জন্য প্রাণিজ প্রোটিনের মতোই কার্যকর হতে পারে। এটি নিরামিষাশীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা, কারণ এটি পেশী গঠনের বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলিকে দূর করে। ভিটামিন বি১২-এর মতো পুষ্টির ঘাটতি একটি পরিচিত ঝুঁকি হলেও, সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিপূরক গ্রহণের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। ভিটোর ব্রুনোর মতো ইনফ্লুয়েন্সাররা এই ধরনের তথ্য প্রচার করে একটি স্বাস্থ্যকর এবং সচেতন জীবনধারা গ্রহণে মানুষকে উৎসাহিত করছেন।