চকোলেট ব্যবহার করে ভগ্নাংশ শিক্ষাদান: বাউরুর অধ্যাপকের উদ্ভাবনী প্রকল্প
সম্পাদনা করেছেন: Olga Samsonova
সাও পাওলোর বাউরুর অধ্যাপক লেইলা পেরেইরা সান্দেস একটি প্রগতিশীল শিক্ষণ পদ্ধতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা জটিল গাণিতিক ধারণাগুলিকে বাস্তব জীবনের উপাদানের মাধ্যমে সহজবোধ্য করে তুলছে। তাঁর এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো গণিতকে শিক্ষার্থীদের কাছে কঠিন না রেখে আনন্দদায়ক করে তোলা। এই শিক্ষণ কৌশল ব্রাজিলের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে সক্রিয় শিক্ষণ এবং বাস্তবভিত্তিক প্রয়োগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালে, বাউরুর এস্কোলা এস্তাদউয়াল প্রফেসর লুইজ ব্রাগার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যাপক সান্দেস 'ফ্যান্টাস্টিক চকোলেট ফ্যাক্টরি' নামক একটি বিশেষ কার্যক্রম তৈরি করেন। এই কার্যক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভগ্নাংশের ধারণা স্পষ্ট করা। এই স্টেশনভিত্তিক কার্যক্রমে ৯ থেকে ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি ভিন্ন স্তরের অসুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখানে 'কার্ডবোর্ডের চকোলেট বার' নামক দৃশ্যমান উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যা বিমূর্ত গাণিতিক ধারণাগুলিকে মূর্ত রূপে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে। এই হাতে-কলমে শিক্ষণ পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
শিক্ষণ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হয়। এই ধাপে, শিক্ষার্থীদের একটি বাস্তব, অনিয়মিত আকারের চকোলেট বারকে সমানভাবে ভাগ করতে হয়, যা সমতার ভিত্তিতে বিভাজনের ধারণাটিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে। গণিতের এই উপভোগ্য প্রয়োগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানে তাদের আগ্রহ বাড়ায়। ব্রাজিলের শিক্ষাব্যবস্থায়, বিশেষত ৯ থেকে ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূলদ সংখ্যার ভগ্নাংশ রূপ বোঝার ক্ষেত্রে দক্ষতার অভাব রয়েছে, যা এই ধরনের উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
অধ্যাপক সান্দেসের পরীক্ষামূলক পদ্ধতির ফলস্বরূপ উল্লেখযোগ্য উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তাঁর ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পলিস্টা পরীক্ষায় পূর্বের গড় ৫৭.৪% থেকে বেড়ে ৭২.২% স্কোর অর্জন করে। চকলেট বারকে ১২টি সমান অংশে ভাগ করে ভগ্নাংশ শেখানোর এই কৌশলটি শিক্ষার্থীদের কাছে গাণিতিক ধারণাগুলিকে আরও উপভোগ্য করে তোলে। এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, উপযুক্ত উপকরণ ব্যবহার করে কঠিন বিষয়ও সহজে শেখানো সম্ভব।
অধ্যাপক সান্দেসের এই ব্যতিক্রমী কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি ২০২০ সালের ডিক্রি নং ৬৮.৩৩৫ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত 'আলফাবেটিজা জুনটোস এসপি' কর্মসূচির অধীনে সেরা অনুশীলন হিসেবে বাউরুর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হন। এই কর্মসূচিটি সাও পাওলো রাজ্য সরকার কর্তৃক চালু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হলো ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০% শিশুকে সাক্ষর করে তোলা। অধ্যাপক সান্দেসের সাফল্য এই বৃহত্তর রাজ্যব্যাপী উদ্যোগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যা গণিতকে উপভোগ্য করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
13 দৃশ্য
উৎসসমূহ
globo.com
JCNET
EFAPE | Escola de Formação e Aperfeiçoamento dos Profissionais da Educação - Secretaria da Educação do Estado de São Paulo
Governo do Estado de São Paulo
YouTube
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
