NASA Death Valley-এ ড্রোন টেস্ট করছে, মঙ্গলের বালুকা ও আকাশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে: পরবর্তী প্রজন্মের ড্রোন ফ্লাইট সফটওয়্যার ২৫টির মধ্যে একটি প্রযুক্তি মাত্র।
মঙ্গল অভিযানের জন্য ডেথ ভ্যালিতে উন্নত ড্রোন নেভিগেশন পরীক্ষা করলো নাসা
সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Martynovska 17
ভবিষ্যৎ মঙ্গল অভিযানের জন্য অত্যাধুনিক রোবোটিক সক্ষমতা বিকাশে নাসা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সাম্প্রতিক ড্রোন পরীক্ষার মাধ্যমে। নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি (JPL)-এর প্রকৌশলীরা পৃথিবীর বুকে মঙ্গল-সদৃশ পরিবেশে তাদের নতুন প্রজন্মের ড্রোন ফ্লাইট সফটওয়্যার, যা এক্সটেন্ডেড রোবাস্ট এরিয়াল অটোনমি (ERAA) নামে পরিচিত, তার পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। এই পরীক্ষাগুলি এই বছরের এপ্রিলের শেষভাগ এবং সেপ্টেম্বরের শুরুতে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক এবং মোহাভি মরুভূমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা ভবিষ্যতের স্বায়ত্তশাসিত ফ্লাইটের জন্য নেভিগেশন অ্যালগরিদমকে সূক্ষ্মভাবে উন্নত করার লক্ষ্য রাখে।
এই গবেষণার মূল চালিকাশক্তি ছিল ইনজেনুইটি মঙ্গল হেলিকপ্টারের অভিজ্ঞতার সীমাবদ্ধতাগুলি অতিক্রম করা। ইনজেনুইটির নেভিগেশন অ্যালগরিদম মঙ্গলের সমতল বালিয়াড়ির মতো চ্যালেঞ্জিং ভূখণ্ডে বিভ্রান্ত হয়েছিল। ইনজেনুইটির ৭২তম এবং শেষ ফ্লাইটটি ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হয়েছিল, যেখানে নেভিগেশন সিস্টেমে ত্রুটির কারণে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডেথ ভ্যালির পরীক্ষা চলাকালীন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১১৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যা চরম পরিবেশগত অবস্থার অধীনে সফটওয়্যারটির কার্যকারিতা যাচাই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
JPL দলের সদস্যরা গবেষণামূলক ড্রোনগুলিকে জনমানবহীন, শুষ্ক মরুভূমির টিলা এবং বিশেষভাবে চিহ্নিত স্থান যেমন মার্স হিল এবং মেসকিট ফ্ল্যাটস স্যান্ড ডিউন্স-এর উপর দিয়ে উড়িয়েছিলেন। এই অভিযানে নাসার প্রকৌশলী, JPL দল, ড্রোন চালক ও গবেষক রোল্যান্ড ব্রোকার্স এবং ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের সুপারিনটেনডেন্ট মাইক রেনল্ডস জড়িত ছিলেন। ব্রোকার্স নিশ্চিত করেছেন যে ভবিষ্যতের যানগুলিকে আরও বহুমুখী হতে হবে, যাতে তারা বালিয়াড়ির মতো কঠিন এলাকা নিয়ে চিন্তা না করে কাজ করতে পারে। এই পরীক্ষাগুলি ২০২৫ এবং তার পরবর্তী মঙ্গল অভিযানের জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রস্তুতি।
ডেথ ভ্যালি নাসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যানালগ সাইট হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যার ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে ১৯৭০-এর দশকে ভাইকিং মহাকাশযান অবতরণের প্রস্তুতির সময় থেকে। মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষাগুলি কম্পিউটার মডেল এবং সীমিত স্যাটেলাইট চিত্রের উপর নির্ভর করার চেয়ে অনেক বেশি ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে বলে ন্যাথান উইলিয়ামস উল্লেখ করেছেন। অতীতের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে JPL প্রকৌশলীদের দ্বারা পারসিভারেন্স রোভারের নির্ভুল অবতরণ ব্যবস্থার একটি অংশ ওই পার্কে একটি চালিত হেলিকপ্টার ব্যবহার করে পরীক্ষা করা।
মঙ্গল অনুসন্ধান কর্মসূচির অধীনে অন্যান্য সম্পর্কিত প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্কে কুকুর-সদৃশ রোবট LASSIE-M এবং মঙ্গল ইলেকট্রিক রিইউজেবল ফ্লাইয়ার (MERF) তৈরি ও পরীক্ষা করা। MERF, যা নাসার ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টার দ্বারা তৈরি করা হচ্ছে, উল্লম্বভাবে উড্ডয়ন এবং বাতাসে ভেসে থাকার জন্য দুটি প্রপেলার ব্যবহার করে, যা ইনজেনুইটির তুলনায় বৃহত্তর পরিসরের সুবিধা দেয়। এই প্রচেষ্টাগুলি এমন একটি কৌশলগত পরিবর্তন নির্দেশ করে যা রোবটগুলিকে কম অনুমানযোগ্য মঙ্গল গ্রহের পরিবেশে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সক্ষম করবে। এই নতুন প্রযুক্তিগত অগ্রগতিগুলি ভবিষ্যতের মঙ্গল রোবটগুলিকে আরও স্বায়ত্তশাসিতভাবে কাজ করার পথ প্রশস্ত করছে, যা মহাকাশ অনুসন্ধানের দিগন্তকে প্রসারিত করবে।
উৎসসমূহ
NASA
NASA Jet Propulsion Laboratory (JPL)
Smithsonian Magazine
Astrobiology Web
Oregon State University
Forbes
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
