উত্তর কোরিয়ার সমালোচনার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ফ্রিডম এজ মহড়া শুরু করেছে

সম্পাদনা করেছেন: Svetlana Velgush

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান তাদের বার্ষিক "ফ্রিডম এজ" সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এই মহড়াটি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। মহড়াটি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের আন্তর্জাতিক জলসীমায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই পাঁচ দিনের মহড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের নৌ, বিমান এবং সাইবার বাহিনী অংশগ্রহণ করছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলায় অংশীদার দেশগুলোর সমন্বিত সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। এটি এই দেশগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বহুমাত্রিক মহড়া, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পরিচালিত হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া এই মহড়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং এই মহড়াকে "বিপজ্জনক" এবং "শক্তি প্রদর্শনের এক বেপরোয়া প্রচেষ্টা" বলে অভিহিত করেছেন, যা "ভুল জায়গায়" অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং "খারাপ পরিণতি" ডেকে আনবে। উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই মহড়াকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখছেন এবং এটিকে তাদের দেশের নিরাপত্তা স্বার্থের প্রতি একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তারা আরও বলেছেন যে যদি "শত্রু শক্তি" তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন অব্যাহত রাখে, তবে উত্তর কোরিয়া আরও "স্পষ্ট এবং তীব্রভাবে" পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।

এই মহড়াটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি প্রচেষ্টা, যা গত বছর ক্যাম্প ডেভিডে অনুষ্ঠিত ত্রি-পক্ষীয় শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে তৈরি হয়েছিল। এই মহড়াগুলো কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা এবং উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই মহড়াগুলি ছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া "আয়রন মেস" নামে একটি টেবিলটপ মহড়া পরিচালনা করছে, যা উত্তর কোরিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে তাদের প্রচলিত ও পারমাণবিক সক্ষমতা একীভূত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে। এটি উভয় দেশের মধ্যে পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করার একটি প্রচেষ্টা। এই মহড়াগুলি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চলমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এটি এই দেশগুলোর মধ্যে কৌশলগত সমন্বয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতির একটি স্পষ্ট প্রতিফলন। পূর্ববর্তী বছরগুলিতেও উত্তর কোরিয়া এই ধরনের যৌথ মহড়ার সমালোচনা করেছে, তবে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো এগুলিকে সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক বলে জোর দিয়েছে।

উৎসসমূহ

  • Bloomberg Business

  • TimesLive

  • Al Jazeera

  • U.S. Indo-Pacific Command

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।