যুক্তরাষ্ট্রের নৌ উপস্থিতি নিয়ে ভেনেজুয়েলার সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধি
সম্পাদনা করেছেন: Svetlana Velgush
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে ভেনেজুয়েলা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নৌবাহিনী মোতায়েন করে তার দেশে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। মাদুরো এই মার্কিন উপস্থিতি শতাব্দী ধরে মহাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে ভেনেজুয়েলা যেকোনো বিদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, এই নৌ উপস্থিতি ল্যাটিন আমেরিকার মাদক কার্টেলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মাদক পাচার এবং অবৈধ অভিবাসন রোধ করার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তবে, বিশেষজ্ঞরা এই কৌশলের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কারণ বেশিরভাগ কোকেন আটলান্টিকের পরিবর্তে প্রশান্ত মহাসাগর বা আকাশপথে পাচার হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির প্রতিক্রিয়ায়, ভেনেজুয়েলা তার সীমান্ত অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করেছে এবং বিদেশী আগ্রাসনের আশঙ্কায় মিলিশিয়া ও নাগরিকদের তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো সতর্ক করেছেন যে, আগ্রাসনের ঘটনা ঘটলে ভেনেজুয়েলা নিজেকে "সশস্ত্র সংগ্রাম এবং অস্ত্রের প্রজাতন্ত্র" হিসেবে ঘোষণা করবে।
এই উত্তেজনার মধ্যে, ২৫শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ "কার্টেল ডি লস সোলেস"-কে একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার সরকারকে ট্রেন ডি আরাগওয়া এবং সিনালোয়া কার্টেলের মতো সংগঠনগুলোকে সমর্থন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর গ্রেপ্তারের তথ্যের জন্য পুরস্কার ৫০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে, যা তার মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে।
মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি, যার মধ্যে ডেস্ট্রয়ার এবং উভচর আক্রমণ জাহাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, প্রায় ৪,৫০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানকে মাদক পাচার প্রতিরোধের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছে, ভেনেজুয়েলা এটিকে আগ্রাসন এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনা এবং পারস্পরিক অভিযোগের এই পরিস্থিতি তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জটিল ও অস্থিতিশীল প্রকৃতিকে তুলে ধরেছে।
উৎসসমূহ
El Nacional
Venezuela's Maduro says US seeking regime change with naval build-up
Maduro advierte a Estados Unidos: “Si Venezuela resulta agredida, nos declararemos en lucha armada”
Cártel de los Soles
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
