ওয়াশিংটন ডিসি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি প্রাক্তন এফবিআই পরিচালক জেমস কমিকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এই ঘটনাটি ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে ঘটেছে। যদিও নির্দিষ্ট অভিযোগগুলি এখনও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি, বিচার বিভাগের সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে কমি মিথ্যা বিবৃতি এবং বিচার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। এই তদন্ত শুরু হয়েছিল কমি-র সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি নিয়ে অভিযোগের পর, যা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
বিচার বিভাগ এই কাজগুলিকে তার অফিসের অপব্যবহার হিসাবে বিবেচনা করছে, তবে কমি-র সমর্থকরা এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায়, কমি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে বলেছেন, "আমি বিচার বিভাগের জন্য হৃদয়বিদারক, কিন্তু আমি ফেডারেল বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখি।" তিনি আরও যোগ করেছেন, "আমি নির্দোষ, তাই আসুন একটি বিচার হোক এবং বিশ্বাস রাখুন।"
এই ঘটনাটি ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্তের সাথে সম্পর্কিত একজন প্রাক্তন উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা। পূর্বে, ট্রাম্প এই তদন্তগুলিকে "ডাইনি শিকার" বলে অভিহিত করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প কমি-র অভিযোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ন্যায়বিচার!" তিনি আরও যোগ করেছেন, "এই দেশটি এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে খারাপ মানুষদের মধ্যে একজন... বিভিন্ন অবৈধ কাজের জন্য দুটি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন।"
এই অভিযোগ ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, যারা এই অভিযোগকে "বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতা" বলে অভিহিত করেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প তার শত্রুদের শাস্তি দিয়ে সন্তুষ্ট হবেন না। কানেকটিকাটের সিনেটর ক্রিস মারফি তার এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, "আমরা সাংবিধানিক সংকটের দিকে পিছলে যাচ্ছি না। আমরা সংকটের মধ্যে আছি। এখন রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক এবং নাগরিক নেতাদের পক্ষ বেছে নেওয়ার সময়: গণতন্ত্র না স্বৈরাচার?"
২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তদন্ত আমেরিকান রাজনীতির একটি বিতর্কিত বিষয়। কমি-র এই অভিযোগ এই কাহিনীর একটি নতুন অধ্যায়, যার মার্কিন রাজনীতি এবং বিচার ব্যবস্থার উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। এই ঘটনাটি বিচার বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তা দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।