ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) ইসরায়েলের সাথে একটি চুক্তির পর গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু উন্নতির কথা জানিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২৯ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট, ২০২৫ এর মধ্যে ৪৬৩টি ট্রাক গাজার প্রবেশপথে নামানো হয়েছে, যা পূর্বের তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে। এই অগ্রগতি সত্ত্বেও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল্যায়ন অনুযায়ী, বড় আকারের ত্রাণ বিতরণের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশের অভাব এখনও মানবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এই সীমাবদ্ধতা গাজার সংকট মোকাবেলায় কার্যকর প্রতিক্রিয়াকে দুর্বল করে তুলছে।
ইসরায়েল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে গাজায় পণ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার অধীনে, মৌলিক খাদ্য পণ্য, শিশুর খাবার, ফল ও সবজি এবং স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী অনুমোদিত হবে। এই পণ্যগুলির জন্য অর্থপ্রদান শুধুমাত্র ব্যাংক স্থানান্তরের মাধ্যমে করা হবে এবং একটি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার অধীনে থাকবে। তবে, এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন এখনও পর্যবেক্ষণাধীন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কার্যকর ত্রাণ বিতরণের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছে। গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর রয়ে গেছে, যদিও কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল জ্বালানি সরবরাহ পুনরায় চালু করা, কিছু রাস্তা খুলে দেওয়া এবং গাজায় প্রবেশকারী দৈনিক ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি সহ কিছু উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে, একটি নিরাপদ পরিবেশের অভাব এখনও বড় আকারের ত্রাণ বিতরণে বাধা সৃষ্টি করছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে গাজায় দুর্ভিক্ষ এড়াতে ইসরায়েলের উচিত নিরপেক্ষ মানবিক সংস্থাগুলির জন্য অবাধ প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধার করা। তারা উল্লেখ করেছেন যে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন এবং প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। ইসরায়েলের এই পদক্ষেপগুলি মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরতা কমাতে এবং সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে একটি নিরাপদ ও স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।