গাজায় গণহত্যার অভিযোগ: জাতিসংঘের তদন্তে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
সম্পাদনা করেছেন: Tatyana Hurynovich
জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে। কমিশনের মতে, ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনে সংজ্ঞায়িত পাঁচটি কাজের মধ্যে চারটি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা বাহিনী সম্পাদন করেছে। এই অভিযোগগুলি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং সংঘাতের উপর চলমান আন্তর্জাতিক নজরদারির মধ্যে এসেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন প্রধান নাভি পিল্লাইয়ের নেতৃত্বে এই কমিশন জানিয়েছে যে ইসরায়েল গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে চারটি কাজ করেছে: গণহত্যা, গোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি সাধন, জীবনযাত্রার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যা শারীরিক ধ্বংসের দিকে পরিচালিত করে এবং জন্ম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরোপ করা। তবে, শিশুদের জোরপূর্বক অন্য গোষ্ঠীতে স্থানান্তর করার অভিযোগটি কমিশন নিশ্চিত করেনি।
ইসরায়েল এই অভিযোগগুলি তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, এটিকে "কলঙ্কজনক এবং মিথ্যা" বলে অভিহিত করেছে। জেনেভায় জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি দানি দিয়ানের মতে, কমিশনের প্রতিবেদনগুলি "পুতুলনাচ" এবং তাদের বক্তব্যগুলি "বানানো"। তিনি আরও বলেছেন যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনে কাজ করেছে এবং বেসামরিকদের ক্ষতি কমাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধি তেরেসা রিবেয়া বলেছেন যে গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড "গণহত্যার অনেক বৈশিষ্ট্য বহন করে" এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ইসরায়েলের সাথে তার চুক্তি স্থগিত করার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, ইউরোপীয় দেশগুলি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি গাজায় সহিংসতা বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এই সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, আগস্ট ২০২৫-এ ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় অনাহারে মৃতের সংখ্যা ৩০০ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে ১১৭ জন শিশু ছিল। এই তথ্যগুলি সংঘাতের মানবিক পরিণতির গভীরতা তুলে ধরে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ায়। রাজনীতিবিদরা এই সংঘাতকে জ্বালানি যোগানো বিভিন্ন স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করছেন, যার লক্ষ্য একটি ন্যায়সঙ্গত সমাধান খুঁজে বের করা এবং বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ প্রতিরোধ করা।
জাতিসংঘের এই অভিযোগগুলি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে গণহত্যার সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, যা ১৯৪৮ সালের কনভেনশনে বর্ণিত হয়েছে। এই কনভেনশনটি গণহত্যাকে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে এবং এর প্রতিরোধ ও শাস্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষগুলিকে বাধ্য করে। এই ঘটনাগুলি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা সংঘাতের সমাধান এবং মানবাধিকার সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আরও একবার সামনে এনেছে।
উৎসসমূহ
Deutsche Welle
Комисија на ОН: Израел врши геноцид врз Палестинците во Газа
Потпретседателка на ЕУ: Акциите на Израел во Газа многу личат на геноцид
Амнести интернешнал: Израел изврши и продолжува да врши геноцид во Газа
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
