ইসরায়েলের একতরফা স্বীকৃতির নিন্দা: যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

ইসরায়েল সরকার কর্তৃক যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে একতরফা স্বীকৃতির তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর এবং হামাসের সহিংসতাকে পুরস্কৃত করার শামিল বলে অভিহিত করেছে, বিশেষ করে গত বছরের ৭ই অক্টোবরের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি প্রতিক্রিয়া জানানোর অঙ্গীকার করেছেন। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, এই ধরনের ঘোষণা শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে এবং ভবিষ্যতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথকে আরও দূরে ঠেলে দেয়। মন্ত্রণালয় আরও অভিযোগ করেছে যে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা সমস্যার অংশ, সমাধান নয়।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন যে, জর্ডান নদীর পশ্চিমে কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে না এবং তিনি বছরের পর বছর ধরে এর সৃষ্টি রোধে কাজ করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, তিনি জুডিয়া এবং সামারিয়া অঞ্চলে ইহুদি বসতি দ্বিগুণ করেছেন এবং এই ধারা অব্যাহত রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনকে সামনে রেখে এই দেশগুলোর এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এই দেশগুলো মনে করে যে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আশাকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। তবে, ইসরায়েল এই ধরনের একতরফা পদক্ষেপকে সন্ত্রাসবাদের পুরস্কার হিসেবে দেখছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ইসরায়েল সরকার আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফেরার পর তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গাজার চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে, যেখানে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৬৫,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে, এই কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলো একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান সংঘাতের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • The Times of Israel

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।