১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে, কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে রাশিয়ার প্রোগ্রেস এমএস-৩২ মহাকাশযানটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। এই মনুষ্যবিহীন কার্গো মহাকাশযানটি প্রায় ২,৫০০ কিলোগ্রাম অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী বহন করছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৮৭০ কিলোগ্রাম জ্বালানি, ৪২০ কিলোগ্রাম জল এবং ৫০ কিলোগ্রাম সংকুচিত নাইট্রোজেন, যা আইএসএস-এর কর্মীদের জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
প্রোগ্রেস এমএস-৩২ মহাকাশযানটি আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে, সকাল ৬:১৪ ইউটিসি সময়ে আইএসএস-এর জেভেজদা মডিউলের সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডক করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সরবরাহ অভিযানটি আইএসএস-এর কার্যক্ষমতা বজায় রাখা এবং এক্সপিডিশন ৭৩-এর ক্রুদের সহায়তা করার জন্য রোসকসমসের প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই মিশনের অংশ হিসেবে, প্রোগ্রেস এমএস-৩২ একটি নতুন অরলান-এমকেএস নং ৭ স্পেসস্যুট বহন করছে, যা মহাকাশচারীদের স্পেসওয়াকের জন্য প্রয়োজন হবে। এছাড়াও, এটি ১৭ কিলোগ্রাম তাজা শাকসবজি ও ফল বহন করছে, যার মধ্যে ৫০০ গ্রাম রসুনও রয়েছে।
আইএসএস মহাকাশ গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে চলেছে এবং ২০২৫ সালের জন্য বেশ কয়েকটি মিশন নির্ধারিত রয়েছে, যার লক্ষ্য মহাকাশে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অগ্রগতি সাধন করা। এই মিশনের মাধ্যমে আইএসএস-এর কার্যক্রম এবং এক্সপিডিশন ৭৩-এর ক্রুদের জীবনযাত্রা আরও সহজ হবে।
উল্লেখ্য, আইএসএস-এর কার্যক্রম ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মত হয়েছে। এই চুক্তিটি ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুই দেশের মধ্যেকার উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মাঝেও মহাকাশ সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম, যা ১৯৬১ সালে ইউরি গ্যাগারিনের প্রথম মহাকাশ যাত্রার সাক্ষী ছিল, এটি রাশিয়ার মহাকাশ কর্মসূচির একটি ঐতিহাসিক কেন্দ্র। এই কসমোড্রোম থেকে আইএসএস-এর জন্য বহু গুরুত্বপূর্ণ মিশন উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।