বুলাওয়েও, জিম্বাবুয়েতে, ফ্যাথিসানি মভান্ডলা প্লাস্টিক বর্জ্যকে একটি টেকসই খাদ্য উৎসে রূপান্তরিত করছেন। তিনি পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করে উল্লম্ব এরোপনিক্স চাষ পদ্ধতি তৈরি করেছেন। এই উদ্ভাবনটি প্লাস্টিক দূষণ এবং কার্যকর, অফ-গ্রিড খাদ্য উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা উভয়কেই মোকাবেলা করে। মভান্ডলার উদ্যোগ, জাম্বেজি ইকো স্প্রাউটস, কম শক্তির পাম্প চালানোর জন্য সৌর শক্তি ব্যবহার করে। এই পাম্পগুলি পুষ্টি-সমৃদ্ধ দ্রবণ দিয়ে গাছের শিকড়কে কুয়াশাচ্ছন্ন করে, ৯০% পর্যন্ত জল সাশ্রয় করে।
এই ব্যবস্থাটি মুরগির বর্জ্য এবং জৈব বর্জ্যকে গাছের জন্য পুষ্টি-সমৃদ্ধ চায়ে রূপান্তরিত করে একটি বন্ধ-লুপ পুষ্টি চক্র তৈরি করে। বর্তমানে খামারটি প্রতি চক্রে ১,২০০ টিরও বেশি ফসল উৎপাদন করে, যার মধ্যে শাক এবং ভেষজ রয়েছে, যা ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে ফসল তোলার জন্য প্রস্তুত হয়। মভান্ডলা জিম্বাবুয়ে এবং এর বাইরেও এই সাশ্রয়ী এবং কার্যকর মডেলটিকে প্রসারিত করার লক্ষ্য রাখেন, যা খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বকে উৎসাহিত করে।
যেখানে খরা কৃষিকে হুমকির মুখে ফেলেছে, সেখানে এই ধরনের উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বুলাওয়েওর মতো শহরগুলিতে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে, যা এই উদ্যোগটিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে। এরোপনিক্স চাষ পদ্ধতি প্রচলিত মাটির উপর নির্ভরশীল চাষাবাদের তুলনায় অনেক কম জল ব্যবহার করে, ৯৫% পর্যন্ত জল সাশ্রয় করতে পারে। এই পদ্ধতিটি, সৌর শক্তির সাথে মিলিত হয়ে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বিদ্যুতের ঘাটতির মতো চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন হওয়া দেশগুলির জন্য একটি টেকসই সমাধান প্রদান করে।
মভান্ডলার জাম্বেজি ইকো স্প্রাউটস উদ্যোগটি কেবল খাদ্য নিরাপত্তাই বাড়ায় না, বরং প্লাস্টিক বর্জ্যকেও সম্পদে পরিণত করে। এটি একটি উদাহরণ স্থাপন করে যে কীভাবে সৃজনশীলতা এবং স্থায়িত্বের মাধ্যমে পরিবেশগত এবং সামাজিক উভয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যেতে পারে। এই উদ্যোগটি জিম্বাবুয়ের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি দেখায় যে কীভাবে স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার করে উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি করা যেতে পারে, যা দেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখে।