বর্তমানে পুষ্টি ও হজম সহায়ক হিসেবে ছাগলের দুধের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এটি গরুর দুধের একটি উন্নত বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়। ছাগলের দুধে আলফা-এস১-কেসিন (alpha-S1-casein) কম থাকার কারণে এটি অ্যালার্জি সৃষ্টিতে কম সক্ষম। এর ফ্যাট গ্লোবিউলগুলো ছোট হওয়ায় এটি সহজে হজম হয় এবং এতে ল্যাকটোজের পরিমাণও সামান্য কম থাকে, যা সংবেদনশীলতা বা হালকা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি উপযুক্ত পছন্দ করে তোলে।
ছাগলের দুধে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ও ডি এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান রয়েছে। এটি গরুর দুধের তুলনায় পাচনতন্ত্রের জন্য কম প্রদাহজনক বলে পরিচিত। ছাগলের দুধে থাকা অনন্য অলিগোস্যাকারাইডগুলি প্রিবায়োটিক হিসাবে কাজ করতে পারে, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ছাগলের দুধ থেকে ক্যালসিয়াম ভালোভাবে শোষিত হয়। কিছু গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ছাগলের দুধের ফ্যাট গ্লোবিউলগুলো ছোট হওয়ায় এবং এর প্রোটিন গঠনের কারণে এটি গরুর দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়।
কিছু উৎস ইঙ্গিত করে যে, ছাগল আরও বৈচিত্র্যময় খাবার খেয়ে গরুর দুধের তুলনায় আরও সমৃদ্ধ এবং সুষম পুষ্টিগুণ সম্পন্ন দুধ উৎপাদন করে, যেখানে গরুর খাদ্যাভ্যাস প্রায়শই বেশি মানসম্মত হয়। প্রাণীদের খাদ্যের এই বৈচিত্র্য দুধে বিস্তৃত পরিসরের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির উপস্থিতিতে অবদান রাখতে পারে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ছাগলের দুধে মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড (medium-chain triglycerides) বেশি থাকে, যা তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে ।