আলবার্টার সংরক্ষণ প্রচেষ্টা উত্তর চিতাবাঘ ব্যাঙের (Northern Leopard Frog) পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যা একসময় এই প্রদেশে প্রায় বিলুপ্তির সম্মুখীন হয়েছিল। বিউভেইস লেক প্রাদেশিক উদ্যান এবং ব্যাটল রিভার সহ বেশ কয়েকটি স্থানে এই প্রজাতির স্ব-নির্ভর জনসংখ্যা এখন নিশ্চিত করা হয়েছে। এই অগ্রগতি সংরক্ষণবিদদের অদম্য নিষ্ঠা এবং ব্যাঙটির সহজাত জীবনীশক্তির এক সুস্পষ্ট প্রতিফলন, যা প্রদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যগুলির জন্য এক বিশাল বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আলবার্টার বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী, ২০০৪ সালে উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে উত্তর চিতাবাঘ ব্যাঙকে 'বিপন্ন' (Threatened) হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এই সংকট মোকাবেলায় মূল কৌশলগুলির মধ্যে ছিল বিদ্যমান এবং নতুন আবাসস্থলে ডিম ও ব্যাঙাচি স্থানান্তর করা। এই গুরুত্বপূর্ণ পুনরুদ্ধার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১৬৩,৮৮০টিরও বেশি ব্যাঙাচি স্থানান্তরিত হয়েছিল। এই স্থানান্তরের কৌশল, বিশেষত ডিম স্থানান্তরের পদ্ধতি, তাদের প্রাক্তন পরিসরের বিভিন্ন অংশে নতুন জনসংখ্যা প্রতিষ্ঠা করতে অত্যন্ত সফল প্রমাণিত হয়েছে।
উত্তর চিতাবাঘ ব্যাঙ জলাভূমি বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য, কারণ তারা শিকারী এবং শিকার উভয় হিসাবেই কাজ করে। তারা পোকামাকড় এবং ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণী ভক্ষণ করে, আবার সাপ ও পাখির খাদ্য হিসেবেও কাজ করে, যা আঞ্চলিক জলাভূমিগুলির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে। উপরন্তু, তাদের ত্বক দূষণের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় তারা পরিবেশগত স্বাস্থ্যের সূচক হিসেবেও কাজ করে, যা বাস্তুতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে।
ঐতিহাসিকভাবে, এই ব্যাঙগুলি আলবার্টার তৃণভূমি, পার্কল্যান্ড এবং পাদদেশের প্রাকৃতিক অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ছিল। তবে, সত্তরের দশকের শেষভাগ এবং আশির দশকের শুরুতে কৃষি কাজের জন্য জলাভূমি শুকিয়ে ফেলা এবং বাসস্থান খণ্ডিত হওয়ার কারণে তাদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। এই কারণে, বর্তমানে তাদের বেশিরভাগ জনসংখ্যা আলবার্টার দক্ষিণাঞ্চলের তৃণভূমি এবং জলাভূমিতে সীমাবদ্ধ। এই প্রজাতির পুনরুদ্ধারের জন্য আলবার্টা উত্তর চিতাবাঘ ব্যাঙ পুনরুদ্ধার দল (ANLFRT) ২০০৪ সালে গঠিত হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল আলবার্টার ঐতিহাসিক পরিসীমা জুড়ে একটি 'সু-বিতরণিত, স্ব-নির্ভর জনসংখ্যা' অর্জন করা। এই পুনরুদ্ধারের সাফল্য প্রমাণ করে যে, সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সঠিক কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।