ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষকরা বটলনোজ ডলফিনের রক্তের সিরাম নিয়ে এক যুগান্তকারী গবেষণা করেছেন। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে ডলফিনের সিরাম বয়স্ক ইঁদুরের ধমনীর কার্যকারিতা বজায় রাখতে সক্ষম, যা বয়স-সম্পর্কিত কার্ডিওভাসকুলার অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষামূলক কারণগুলির ইঙ্গিত দেয়। "আর্টেরিয়াল এজিং" প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। ডলফিনের মতো সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীরা তাদের দীর্ঘায়ু এবং গভীর-ডুব দেওয়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত, এবং তারা ধমনীর কর্মহীনতা প্রতিরোধ করতে পারে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ডলফিনের সিরাম, মানুষের সিরামের বিপরীতে, বয়সের সাথে সাথে ধমনীর কার্যকারিতা বজায় রাখে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে ডলফিনের রক্তে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মানুষের মধ্যে বার্ধক্যজনিত ধমনীর সমস্যা প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে এবং যা নতুন ওষুধ বা থেরাপির বিকাশে ব্যবহার করা যেতে পারে।
গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে ডলফিনের ধমনীর স্বাস্থ্য অধ্যয়ন করে, আমরা মানুষের মধ্যে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধের জন্য নতুন উপায় খুঁজে পেতে পারি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) এর মতো সংস্থাগুলি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণের উপর জোর দেয়, যেমন ফল, সবজি এবং শস্য খাওয়া, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করা, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা এবং ধূমপান ত্যাগ করা। এই গবেষণাটি ডলফিনের মতো সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের কাছ থেকে শেখার মাধ্যমে মানুষের হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু উন্নত করার জন্য নতুন থেরাপিউটিক কৌশল বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।