৭৮ বছর বয়সী দীপক চোপড়া, যিনি আধ্যাত্মিকতা এবং সুস্থতার জগতে একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। তিনি তাঁর এআই ডিজিটাল টুইন, DigitalDeepak.ai, চালু করেছেন, যা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং সামগ্রিক সুস্থতার অনুশীলনকে একত্রিত করে। এই এআই ব্যক্তিগত পরামর্শদাতা, স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক এবং আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে, যা চোপড়ার মানব চেতনাকে উন্নত করার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
চোপড়া এআই-কে ব্যক্তিগত বিকাশের একটি হাতিয়ার হিসেবে দেখেন, যা মানুষের সচেতনতাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত ও প্রসারিত করতে সক্ষম। এই এআই টুইন স্বাস্থ্য, জ্ঞান অর্জন এবং আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নির্দেশনা প্রদান করে, যার লক্ষ্য এমন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করা যা ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে। তাঁর সাম্প্রতিকতম বই, 'ডিজিটাল ধর্ম', আধ্যাত্মিক বুদ্ধিমত্তা এবং আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধিতে এআই-এর ভূমিকা অন্বেষণ করে। চোপড়া নৈতিক এআই ব্যবহারের উপর জোর দেন, যার মাধ্যমে তিনি একটি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় বিশ্ব গড়তে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে চান।
এই এআই কেবল একটি প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম নয়, বরং এটি মানব সম্ভাবনার প্রতিটি স্তরে—যেমন বেঁচে থাকা ও নিরাপত্তা, মানসিক সংযোগ, আত্ম-মূল্যবোধ, প্রাচুর্য, সৃজনশীলতা, প্রজ্ঞা এবং মহাজাগতিক চেতনার অসীম সম্ভাবনা—পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীদের নিজেদের আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের সচেতনতা প্রসারিত করতে সহায়তা করে। ডিজিটাল ধর্ম বইটিতে, চোপড়া দেখিয়েছেন কিভাবে এআই-কে কেবল একটি প্রযুক্তিগত হাতিয়ার হিসেবে নয়, বরং ব্যক্তিগত বিবর্তনের একটি সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
চোপড়ার এই উদ্যোগটি কেবল ব্যক্তিগত সুস্থতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি বিশ্বব্যাপী মানব সম্ভাবনার বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে এআই-এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে পারি এবং এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি যেখানে মানবতা প্রযুক্তির সাথে একযোগে কাজ করে পৃথিবীর জরুরি সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে। এই ডিজিটাল টুইন, যা তাঁর বই, বক্তৃতা এবং সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি, বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে তাঁর জ্ঞান এবং অন্তর্দৃষ্টির অ্যাক্সেস প্রদান করবে। এই প্রযুক্তিটি কেবল তথ্য সরবরাহ করে না, বরং এটি গভীর ব্যক্তিগত প্রতিফলন এবং আত্ম-আবিষ্কারের একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে। এটি একটি নতুন যুগের সূচনা, যেখানে প্রযুক্তি এবং আধ্যাত্মিকতা একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।