নেকড়ে তাড়াতে ড্রোন: নতুন প্রযুক্তি ও সিনেমার সংলাপের ব্যবহার
সম্পাদনা করেছেন: Katerina S.
গবাদি পশুর সুরক্ষার জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (USDA) বর্তমানে ড্রোন ব্যবহার করে নেকড়েদের দূরে রাখার একটি অভিনব পদ্ধতি প্রয়োগ করছে। এই ড্রোনগুলিতে লাউডস্পিকার সংযুক্ত থাকে, যেখান থেকে উচ্চস্বরে শব্দ এবং সিনেমার সংলাপ বাজানো হয়। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো নেকড়েদের স্বাভাবিক আচরণে ব্যাঘাত ঘটিয়ে তাদের দূরে রাখা।
গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষের কণ্ঠস্বর বা তীব্র সঙ্গীত নেকড়েদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, "ম্যারিজ স্টোরি" সিনেমার একটি সংলাপ, "আমি আর এটা সহ্য করব না!" নেকড়েদের চমকে দিতে সক্ষম হয়েছে। একইভাবে, এসি/ডিসি ব্যান্ডের "থান্ডারস্ট্রাক"-এর মতো শক্তিশালী সঙ্গীতও তাদের এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য করে। এই পদ্ধতিটি ওরেগন-ক্যালিফোর্নিয়া সীমান্ত অঞ্চলের মতো এলাকায় পরীক্ষা করা হয়েছে এবং নেকড়ে ও গবাদি পশুর মধ্যে সংঘাত কমাতে এটি অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
এই প্রযুক্তিটি কেবল গবাদি পশুকে রক্ষা করতেই সাহায্য করে না, বরং নেকড়ে সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের এই গবেষণাটি গ্লোবাল ইকোলজি অ্যান্ড কনজারভেশন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই ড্রোন ব্যবহারের ফলে গবাদি পশুর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮৫% কমে গেছে, যা নেকড়েদের মেরে ফেলার প্রয়োজনীয়তা এড়াতে সহায়ক হয়েছে। এই পদ্ধতিটি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এই ড্রোনগুলি নেকড়েদের স্বাভাবিক শিকার আচরণে বাধা সৃষ্টি করে এবং তাদের মনে ভয় জাগায়। এটি পরিবেশগতভাবে একটি টেকসই সমাধান, কারণ এতে কোনো প্রাণীর ক্ষতি হয় না। ড্রোনগুলি দূর থেকে নজরদারি করতেও সক্ষম, যা অন্যান্য বন্যপ্রাণী নিয়ন্ত্রণেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই উদ্ভাবনী পদ্ধতিটি ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতভাবে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উৎসসমূহ
The Boston Globe
AI Pre-editor for News Verification and Enhancement
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
