হিন্দি দিবসে হিন্দি ভাষার সমৃদ্ধ সাহিত্যিক ঐতিহ্যের উদযাপন

সম্পাদনা করেছেন: Vera Mo

হিন্দি দিবস উপলক্ষে হিন্দি ভাষার সমৃদ্ধ সাহিত্যিক ঐতিহ্য ও অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। এই ভাষা অমর সাহিত্য ও কবিতার জন্ম দিয়েছে, যা কানপুরের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। প্রকৃতি বর্ণনার জন্য পরিচিত কবি অনূপ শহর, চন্দোক গ্রামের বাসিন্দা প্রেম কে, এবং মহাকবি ঘনানন্দ তাঁদের সৃষ্টির মাধ্যমে হিন্দি সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। কবি চতুরসেন শাস্ত্রীর বিখ্যাত কাজ 'বৈশালী কি নগরবধু' আজও পাঠকদের মুগ্ধ করে চলেছে। বীর রস-এর কবি ডঃ হরিম ওম পওয়ার, শৃঙ্গার রস-এর কবি ডঃ কুমার বিশ্বাস এবং নাট্যকার অধ্যাপক বিকাশ শর্মা কানপুরের সাহিত্যিক ঐতিহ্যকে এক নতুন পরিচিতি দিয়েছেন। সিকান্দ্রাবাদের বাসিন্দা সন্তোষ আনন্দের অমর গান 'জিন্দেগি কি না টুটো লড়ি, পেয়ার কার্লে ঘড়ি দো ঘড়ি' হিন্দি সিনেমার জগতে অমর হয়ে আছে। খুরজার বাসিন্দা কবি অশোক চক্রধরও হিন্দি সাহিত্যে কানপুরের নাম উজ্জ্বল করেছেন। আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও কবি জগদীশ চন্দ্র মাথুর সাহিত্য, নাটক এবং মঞ্চের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ১৯৪৯ সালে টেলিভিশনের প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি আকাশবাণী-র নামকরণ ও নামকরণেও অবদান রেখেছিলেন।

হিন্দি ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও উপযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কানপুরের সমস্ত শাখা হিন্দিতে কাজ করছে এবং ব্যাংক কর্মকর্তারাও হিন্দিতে কাজ করছেন। এটি হিন্দি ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা ও উপযোগিতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। কবি ধর্মেন্দ্র হর্ষ বলেছেন যে, আমাদের চিন্তা ও আচরণের পাশাপাশি হিন্দির প্রতিও সম্মান জানানো উচিত। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশও উন্নত হবে। তিনি আরও বলেন যে, দীপাবলি উৎসব উজ্জ্বল হবে এবং আলো ও উৎসবের উৎসব উদযাপিত হবে। বিশ্ব উৎসব সময়ের সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং ভারতের প্রাচীন জ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। প্রয়োজন হল এর বিকাশ ঘটানো এবং যুবকদের জন্য পরিবেশ তৈরি করা।

হিন্দি দিবসে সাহিত্যিক ঐতিহ্য ও হিন্দি ভাষার প্রতি শ্রদ্ধার গভীর প্রশংসা করা হয় এবং এটিকে প্রচার ও সংরক্ষণের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হয়। হিন্দি সাহিত্যের বিবর্তন ভারতে বহু শতাব্দী ধরে বিস্তৃত। আদি কাল থেকে ভক্তি কাল, রীতিকাল এবং আধুনিক কাল পর্যন্ত এর বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। এই ভাষার সাহিত্যিক ধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন কবীর, তুলসীদাস, সুরদাস এবং আধুনিক যুগে প্রেমচন্দ, ভারতেন্দু হরিশচন্দ্র, গণেশ শঙ্কর বিদ্যার্থী প্রমুখ। কানপুর শহরটি হিন্দি ভাষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যেখানে অনেক বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেছেন।

জগদীশ চন্দ্র মাথুর, যিনি আকাশবাণী-কে 'আকাশবাণী' এবং টেলিভিশনকে 'দূরদর্শন' নাম দিয়েছিলেন, তিনি হিন্দি সাহিত্য ও মঞ্চের বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সন্তোষ আনন্দ, যিনি 'জিন্দেগি কি না টুটো লড়ি' গানটির জন্য পরিচিত, তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের জগতে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। ডঃ হরিম ওম পওয়ার এবং ডঃ কুমার বিশ্বাস তাঁদের বীর রস ও শৃঙ্গার রস-এর কবিতার জন্য সুপরিচিত। অশোক চক্রধর, যিনি হিন্দি ভাষার প্রচার ও প্রসারে নিবেদিত, তিনি খুরজা, উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও কবি। হিন্দি ভাষার ব্যবহার ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা এই ভাষার গুরুত্ব ও প্রসারের একটি ইতিবাচক দিক।

উৎসসমূহ

  • Hindustan

  • हिंदुस्तान

  • दैनिक ट्रिब्यून

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।