আগামী আগস্ট ২০, ২০২৫ তারিখে, ন্যাটো প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ন্যাটো সামরিক কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল জিউসেপ্পে কাভো ড্রাগোন নিশ্চিত করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল আলেক্সাস গ্রিনকিউইচ সহ ৩২টি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এই বৈঠকটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার পর অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প পূর্বে আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছিলেন।
ইউক্রেন রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসন প্রতিরোধের জন্য পশ্চিমা-সমর্থিত শক্তিশালী সামরিক নিশ্চয়তা চাইছে। ইউরোপীয় মিত্ররা এবং জাপান ও অস্ট্রেলিয়াসহ ৩০টি দেশের একটি জোট একটি সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির সমর্থনে নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা করছে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখনও অস্পষ্ট, কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পূর্বে ইউক্রেনে আমেরিকান সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত রাতে সুমি এবং ওডেসাতে হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে তিনটি ছোট শিশুসহ একটি পরিবারও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই হামলাগুলো মস্কোর উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের মাধ্যমে চাপ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, যাতে কূটনীতি তার পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জন করতে পারে।
অ্যাডমিরাল জিউসেপ্পে কাভো ড্রাগোন, যিনি ১৭ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তিনি উল্লেখ করেন যে বৈঠকটি ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিকল্পগুলো অন্বেষণ এবং সংঘাত শেষ করার জন্য মিত্রদের প্রচেষ্টাকে সমন্বয় করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল। এই সমাবেশটি ইউক্রেনের সংঘাত শেষ করার এবং দেশটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন।