ডেনমার্কে অজ্ঞাত ড্রোনের অনুপ্রবেশ: ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনের আগে নিরাপত্তা জোরদার

সম্পাদনা করেছেন: S Света

২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে, ডেনমার্ক তার আকাশসীমায় অজ্ঞাত ড্রোনের অনুপ্রবেশের কারণে এক অভূতপূর্ব নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এই ঘটনাগুলি ডেনিশ কর্তৃপক্ষের দ্রুত এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সূত্রপাত করে, যার মধ্যে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন এবং বেসামরিক ড্রোনের উপর অস্থায়ী দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশেষ করে কোপেনহেগেনে আসন্ন প্রধান আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনগুলির পরিপ্রেক্ষিতে এই সতর্কতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে, ডেনিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জরুরি ভিত্তিতে কয়েকশ রিজার্ভ সৈন্য ডাকার ঘোষণা দেয়। নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকব কার্সবো এই পদক্ষেপকে একটি 'সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি' হিসেবে বর্ণনা করেন, যা সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় দেশের প্রস্তুতি জোরদার করার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছিল। এর পরপরই, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত, ডেনিশ সরকার সকল বেসামরিক ড্রোনের কার্যক্রমের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিমানবন্দর এবং সংবেদনশীল সামরিক স্থাপনার উপর ড্রোনের উড্ডয়নের একাধিক ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা জননিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য স্পষ্ট ঝুঁকি তৈরি করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞা বৈধ ড্রোন কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য হুমকিগুলির মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতে এবং আইন প্রয়োগকারী ও সামরিক কর্মীদের জন্য কর্মপরিবেশ সহজতর করতে সহায়ক ছিল।

১ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক এবং ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের সম্মেলনের জন্য কোপেনহেগেন প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে, ডেনমার্ক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করে। জার্মানি, ফ্রান্স এবং সুইডেন উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়, যার মধ্যে সৈন্য, উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রাডার প্রযুক্তি এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা উদীয়মান আকাশসীমা হুমকির মুখে ইউরোপীয় নিরাপত্তার প্রতি ঐক্যবদ্ধ অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটায়।

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে, ডেনিশ কর্তৃপক্ষ কোপেনহেগেন বিমানবন্দর এবং ওলবরগের নৌ ঘাঁটির উপর আকাশসীমা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়। প্রায় ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে শুরু হওয়া অজানা আকাশযান সনাক্তকরণের ধারাবাহিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই sightings কোপেনহেগেন, ওলবোর্গ, এসবার্গ এবং সন্ডারবোর্গের মতো একাধিক ডেনিশ বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত করে এবং স্ক্রাইড্রুপ ও কারুপের মতো সামরিক ঘাঁটির কাছেও দেখা যায়। যদিও অপারেটর এবং তাদের উদ্দেশ্য তদন্তাধীন রয়েছে, ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে রাশিয়া ইউরোপীয় নিরাপত্তার জন্য একটি সম্ভাব্য হুমকি হতে পারে, যদিও মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ডেনিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনাগুলিকে সম্ভাব্য 'হাইব্রিড আক্রমণ' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যার লক্ষ্য ছিল ভয় সৃষ্টি করা এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা। এই পরিস্থিতি ন্যাটোকে বাল্টিক সাগর অঞ্চলে তাদের সতর্কতা বাড়াতে প্ররোচিত করেছে, যেখানে একটি জার্মান আকাশ প্রতিরক্ষা ফ্রিগেট, FGS হ্যামবার্গ, আকাশসীমা পর্যবেক্ষণে সহায়তা করার জন্য কোপেনহেগেনে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় অংশীদারদের এই সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির একটি ভাগ করা উপলব্ধি এবং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানগুলির সময় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

উৎসসমূহ

  • The Moscow Times на русском

  • Дроны над Данией — Армия страны мобилизует резервистов, пишут СМИ

  • Дания срочно призывает резервистов из-за инцидентов с дронами

  • НАТО наращивает присутствие в Балтике после инцидентов с дронами в Дании

  • Дроны в Дании – Страна срочно вызывает резервистов

  • Неизвестные дроны в Дании - резервистов срочно вызвали на службу

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।