মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ১৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে একটি সরাসরি বৈঠকের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের একটি সম্ভাব্য শান্তি সমাধানের পথ অন্বেষণ করা। হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কি এবং বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন।
এই বৈঠকে ট্রাম্প জোর দিয়েছিলেন যে, আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য জেলেনস্কি এবং পুতিনের মধ্যে একটি ত্রিমুখী শীর্ষ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ আশা প্রকাশ করেছেন যে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এমন একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য আরও বোঝানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন।
পরিকল্পিত বৈঠকের নির্দিষ্ট তারিখ এবং স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ইউরোপীয় নেতারা সম্ভাব্য স্থান হিসেবে রোম, জেনেভা, বুদাপেস্ট এবং হেলসিঙ্কি সহ বেশ কয়েকটি শহরের প্রস্তাব দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ঘটনাবলীর উপর নিবিড় নজর রাখছে। একটি সফল শীর্ষ সম্মেলন রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
এই উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শান্তি আলোচনায় সহায়তার জন্য একটি নতুন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন বলেছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ধরনের যেকোনো শান্তি আলোচনাকে পূর্ণ সমর্থন করে এবং একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, এই সংঘাতের মানবিক প্রভাব অত্যন্ত গভীর এবং দ্রুত একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান সকল পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
ঐতিহাসিকভাবে, এই ধরনের উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনা প্রায়শই দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। তবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং নেতাদের সদিচ্ছা থাকলে একটি ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। এই বৈঠকটি কেবল দুই দেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।