ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইউক্রেনকে ৬.৬ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে হাঙ্গেরি এই তহবিলের পথে বাধা দিচ্ছে ।
ইইউ-এর বৈদেশিক নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইইউ-এর মধ্যে নিষেধাজ্ঞাগুলি সর্বসম্মতভাবে কার্যকর করা হয় এবং এটি পরিবর্তন করতে হলে চুক্তিতে সংশোধন প্রয়োজন, যা বর্তমানে পরিকল্পনা করা হয়নি ।
হাঙ্গেরি নতুন সামরিক সহায়তা দিতে আপত্তি জানিয়েছে, যার ফলে ইউরোপীয় শান্তি তহবিল থেকে অর্থ অবরুদ্ধ রয়েছে ।
বোরেল ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী এবং হামাসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বাধার জন্য হাঙ্গেরির সমালোচনা করেছেন । অনেক ইইউ সদস্য রাষ্ট্র ইসরায়েলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না, যা ইউরোপীয় ঐক্যে দুর্বলতা সৃষ্টি করছে ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইইউ-এর মধ্যে বৈদেশিক নীতির বিষয়ে অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য বেড়েছে, যা এর কার্যকারিতা হ্রাস করছে । ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছাতে না পারার কারণে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইইউ-এর প্রভাব কমছে ।
ব্রুয়েগেল নামক একটি থিংক ট্যাঙ্কের বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ইইউ-এর অভ্যন্তরীণ বিভাজন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে । সমন্বিত বৈদেশিক নীতির অভাবে বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, যা প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বহিরাগত ধাক্কার প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেবে ।
এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে ইইউকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে এবং অভিন্ন স্বার্থের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে ।
রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে, ইইউ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউক্রেনের অর্থনীতি, সমাজ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ইউরো সরবরাহ করেছে । সামরিক সহায়তার জন্য প্রায় ৫৯.৬ বিলিয়ন ইউরো দেওয়া হয়েছে ।
ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতবিরোধের কারণে বৈদেশিক নীতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ কঠিন হয়ে পড়েছে । কিছু সদস্য রাষ্ট্রের ভিন্ন ভিন্ন স্বার্থের কারণে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রায়শই কঠিন হয়ে যায় ।
ইউক্রেনের প্রতি ইইউর সমর্থন অব্যাহত রয়েছে, তবে অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ।