আগামী ১২ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে জর্ডান সিরিয়ার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠন কৌশল নিয়ে আলোচনা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সিরিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করবে। এই বৈঠকটি সিরিয়ার সাম্প্রতিক ১২টি বিনিয়োগ চুক্তির পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মোট মূল্য ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই চুক্তিগুলির মধ্যে কাতারের ইউসিসি হোল্ডিংয়ের সাথে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়নের জন্য ৪ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের সাথে ২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি অন্তর্ভুক্ত, যা রাজধানী দামেস্কে একটি সাবওয়ে ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানির অংশগ্রহণের প্রত্যাশা রয়েছে এই আলোচনায়, যেখানে মার্কিন দূত টমাস ব্যারাকও উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হলো সিরিয়ার অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমন্বিত করা, প্রকল্পগুলির কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমিত করে স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সিরিয়ার যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠনের জন্য প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন। বিশ্ব ব্যাংক ইতিমধ্যেই সিরিয়ার অবকাঠামো ও পুনর্গঠন প্রকল্পে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ১৪৬ মিলিয়ন ডলার বিশেষভাবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও সিরিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা পুনর্ব্যক্ত করেছে। এই বিনিয়োগ চুক্তিগুলি সিরিয়ার পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বিশেষ করে, দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিকীকরণ এবং একটি নতুন সাবওয়ে ব্যবস্থা নির্মাণের মতো বড় প্রকল্পগুলি দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্যোগগুলি কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাই বাড়ায় না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার পরিবেশকেও শক্তিশালী করে। এই প্রচেষ্টাগুলি সিরিয়ার জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।