সিরিয়া এবং ইসরায়েল উভয় দেশই জুলাই ২০২৫-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি উত্তেজনা প্রশমন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি কয়েক দশক ধরে চলা শত্রুতার পর উত্তেজনা কমাতে এবং একটি বৃহত্তর নিরাপত্তা বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত টম ব্যারাকের ভূমিকা এই চুক্তি সম্পাদনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি বিমান হামলা স্থগিত রাখা এবং সীমান্ত বরাবর সিরিয়ার ভারী সরঞ্জামের চলাচল সীমিত করার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি উভয় দেশের মধ্যে একটি বৃহত্তর নিরাপত্তা বোঝাপড়ার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই চুক্তিটি প্যারিস এবং দামেস্কের মতো শহরগুলিতে সিরীয় ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পর সম্পন্ন হয়েছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা হ্রাস করার জন্য একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল তৈরি করা এবং ভবিষ্যতের সংঘাত প্রতিরোধে পারস্পরিক আস্থা-নির্মাণমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।
এই চুক্তির পাশাপাশি, আগস্ট ২০২৫-এ ব্যারাক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে লেবানন ও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রতি মার্কিন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং লেবাননের একটি প্রস্তাব অনুসারে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার জন্য ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ সহজতর করতে এবং শান্তি প্রচারে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে। যদিও এই চুক্তি শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে সম্মত ব্যবস্থাগুলির পূর্ণ বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, যা এই ধরনের জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি বাস্তবসম্মত মূল্যায়ন। এই অগ্রগতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।