আফ্রিকার প্রথম স্ব-চালিত বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সির উড়ান: রুয়ান্ডা প্রযুক্তিতে অগ্রণী
সম্পাদনা করেছেন: Tatyana Hurynovich
১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে রুয়ান্ডা আফ্রিকার বিমান চলাচল প্রযুক্তিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দেশটির রাজধানী কিগালিতে অনুষ্ঠিত এভিয়েশন আফ্রিকা ২০২৫ शिखर सम्मेलन (Africa Aviation Summit) চলাকালীন, রুয়ান্ডার সরকার এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশন (CRBC)-এর যৌথ উদ্যোগে ইহ্যাঙ (EHang)-এর EH216-S মডেলের প্রথম পাবলিক স্ব-চালিত বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সির সফল উড়ান সম্পন্ন হয়েছে। এই ঐতিহাসিক প্রদর্শনীতে ১৭০০-এর বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন, যা এই প্রযুক্তির প্রতি আন্তর্জাতিক আগ্রহের প্রতিফলন ঘটায়।
রুয়ান্ডার অবকাঠামো মন্ত্রী জিমি গ্যাসোরে বলেছেন, “রুয়ান্ডা আমাদের শহরগুলোকে আরও সংযুক্ত এবং আমাদের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে চায় উদ্ভাবনী পরিবহন সমাধানের মাধ্যমে।” এই উড়ানটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত প্রদর্শনী ছিল না, বরং এটি রুয়ান্ডার শহুরে আকাশপথে চলাচলের (urban air mobility) এবং নিম্ন-উচ্চতার অর্থনীতি (low-altitude economy) বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ইহ্যাঙ EH216-S মডেলটি প্রায় ১৩০ কিমি/ঘন্টা গতিতে প্রায় ৩০ কিমি পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। এই প্রযুক্তি রুয়ান্ডাকে আফ্রিকার মধ্যে বিমান চলাচল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানে স্থাপন করেছে।
চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশন রুয়ান্ডা অফিসের ডিরেক্টর হুয়াং কিলিন উল্লেখ করেছেন, “এই সহযোগিতা আফ্রিকার জন্য উদ্ভাবনী সমাধান আনার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রমাণ।” রুয়ান্ডার সরকার পূর্বেও ড্রোন ব্যবহার করে ঔষধ ও স্বাস্থ্য সরবরাহের মতো প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়েছে, যা এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়েছে। এই স্ব-চালিত এয়ার ট্যাক্সির সফল উড়ান আফ্রিকার বিমান চলাচল শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
এটি শহুরে যানজট কমাতে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ উন্নত করতে এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অগ্রগতি রুয়ান্ডার উদ্ভাবনী মানসিকতা এবং উন্নত প্রযুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকারের পরিচয় দেয়। ইহ্যাঙ EH216-S, যা বিশ্বের প্রথম গণ-উৎপাদিত eVTOL (electric vertical take-off and landing) বিমানগুলির মধ্যে অন্যতম, এটি রুয়ান্ডার বিমান চলাচল খাতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
এই ধরনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন কেবল দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিই ঘটাবে না, বরং মহাদেশ জুড়ে বিমান চলাচল শিল্পের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্যোগটি আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলোর জন্যও একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, যা প্রমাণ করে যে সঠিক পরিকল্পনা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আকাশসীমা নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
উৎসসমূহ
Haberler
Aviation Week Network
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
