শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে, হামাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থাপিত একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবে সকল ইসরায়েলি জিম্মি, জীবিত ও মৃত উভয়ের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হামাস মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনার জন্য তাদের প্রস্তুতি প্রকাশ করেছে, যেখানে প্রস্তাবের বিস্তারিত চূড়ান্ত করা হবে।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিনিময় কাঠামোর সাথে সঙ্গতি রেখে সকল দখলদার বন্দীর মুক্তি - জীবিত এবং মৃত উভয়েরই - প্রদানের অনুমোদন দিচ্ছে"। তারা আরও জানায় যে তারা মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত এবং "আরব, ইসলামিক ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা, সেইসাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা" প্রকাশ করেছে।
এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে, হামাস গাজা উপত্যকার "প্রশাসনের হস্তান্তর একটি স্বাধীন প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে গঠিত ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে" করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, যা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এবং আরব ও ইসলামিক সমর্থনপুষ্ট হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় একটি রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন।
এই ২০-দফা বিশিষ্ট পরিকল্পনাটি যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস এবং গাজা উপত্যকায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও এই পরিকল্পনা সমর্থন করেছেন।
এই চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো একটি "শান্তি প্যানেল" গঠন, যেখানে স্যার টনি ব্লেয়ারের মতো আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই প্যানেলটি গাজার পুনর্গঠন এবং শাসনের তত্ত্বাবধান করবে। যদিও হামাস জিম্মি মুক্তি এবং গাজার প্রশাসন হস্তান্তরের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে, তবে তাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ইসরায়েলের সৈন্য প্রত্যাহারের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
এই অগ্রগতি একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসানের দিকে একটি সম্ভাব্য breakthrough নির্দেশ করে, তবে এর চূড়ান্ত বাস্তবায়ন নির্ভর করবে বিস্তারিত আলোচনার উপর। এই ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।