আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা: আসিয়ানের পর্যবেক্ষক দল কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে উত্তেজনা পর্যবেক্ষণ করছে

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

১৪ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে কর্নেল নাজলি আব্দুল রহিম-এর নেতৃত্বে একটি আসিয়ানের অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষক দল (IOT) কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের বাanteay Meanchey প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। এই দলে ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মায়ানমার, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনামের সামরিক অ্যাটাশেগণ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। পরিদর্শনের সময়, দলটি থাই সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক মোতায়েন করা কাঁটাতারের বেড়া এবং টায়ারের মতো প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে, যা পূর্বে কম্বোডিয়ান কর্তৃপক্ষ দ্বারা রিপোর্ট করা হয়েছিল। এই পর্যবেক্ষণগুলি ২৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিপালন মূল্যায়নের অংশ।

কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থাইল্যান্ডকে যুদ্ধবিরতির চেতনা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে। এই উত্তেজনাপূর্ণ কিন্তু স্থিতিশীল সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সাম্প্রতিক সশস্ত্র সংঘর্ষের পর, যা হতাহত এবং বেসামরিকদের স্থানচ্যুতির কারণ হয়েছিল, এই যুদ্ধবিরতি একটি ভঙ্গুর কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই সংঘাতের ঐতিহাসিক শিকড় ঔপনিবেশিক যুগের চুক্তি এবং সীমান্ত চিহ্নিতকরণের ভিন্ন ব্যাখ্যার মধ্যে নিহিত, যা ১৯০৪ সালের ফ্রাঙ্কো-সিয়ামিজ চুক্তির সময় থেকে চলে আসছে। ২০০৮-২০১১ এবং পুনরায় ২০২৫ সালে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে উল্লেখযোগ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, লাংকং-মেকং কোঅপারেশন (LMC) ফরেন মিনিস্টার্স মিটিং-এর পার্শ্ব meanwhile, কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখোন এবং থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাংগিয়ামপংসা-এর সাথে এক বৈঠকে উভয় দেশকে সংলাপ, আস্থা পুনর্নির্মাণ এবং সীমান্ত পুনরায় খোলার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। চীন উভয় দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য সরাসরি সংলাপকে সমর্থন করে। তারা জেনারেল বর্ডার কমিটির জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলির পূর্ণ বাস্তবায়নকে সমর্থন করে এবং সমাধানের জন্য আসিয়ান-এর ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয়। চীন সীমান্ত এলাকায় মাইন অপসারণ এবং অন্যান্য মানবিক কাজে সহায়তা করার প্রস্তাবও দিয়েছে। এই কূটনৈতিক উদ্যোগগুলি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উৎসসমূহ

  • The Star

  • ASEAN interim observer team visits Cambodia-Thailand border areas

  • China urges Cambodia, Thailand to restore peace at border

  • China says supports Thailand, Cambodia reconciliation

  • Thailand warns it may act in 'self-defense' after soldier hurt by a mine blast near Cambodian border

  • Cambodian migrant workers face an uncertain future as Thai border conflict drives them home

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।