আজারবাইজান তার জ্বালানি উৎসকে বৈচিত্র্যময় করার এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর কৌশলের অংশ হিসেবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এই প্রকল্পগুলি আজারবাইজানের বিলসুভার (৪৫৫ মেগাওয়াট) এবং নেফচলা (315 মেগাওয়াট) জেলায় স্থাপন করা হচ্ছে। মাসদার এবং সকার গ্রিন-এর সাথে অংশীদারিত্বে এই প্রকল্পগুলি ইউরোপীয় পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক (EBRD), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB), এবং এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (AIIB) দ্বারা অর্থায়ন করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যে এই কেন্দ্রগুলি ২০২৭ সাল নাগাদ চালু হবে এবং আজারবাইজানকে তার নবায়নযোগ্য শক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করবে। বিলসুভার সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ১,৪৫৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এর ক্ষমতা ৪৪৫ মেগাওয়াট, যা প্রতি বছর আনুমানিক ১.৭ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৪৪২,০০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করবে। নেফচলা সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ক্ষমতা ৩১৫ মেগাওয়াট এবং এটি বার্ষিক ৩১৪,০০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমাতে সহায়ক হবে। প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পগুলিতে ১৬০ মিলিয়ন ডলার করে বিনিয়োগ করছে।
এই উদ্যোগগুলি আজারবাইজানকে ২০৩০ সালের মধ্যে তার মোট শক্তির ৩০% নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাসদার এবং সকার গ্রিন-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশীদারিত্ব এই প্রকল্পগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বাড়িয়েছে। এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ককেশাস অঞ্চলের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। এই প্রকল্পগুলি কেবল আজারবাইজানকেই শক্তি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সাহায্য করবে না, বরং দেশের পরিবেশগত লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই উদ্যোগগুলি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং টেকসই উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা এই অঞ্চলের সবুজ ভবিষ্যতের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে।