১৫ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোবরিন্ডটের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রো ASYL এবং Patenschaftsnetzwerk Ortskraefte নামক দুটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এই অভিযোগ দায়ের করে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে তারা জার্মানি কর্তৃক স্থানান্তরের জন্য অনুমোদিত ২,০০০ জনেরও বেশি আফগান নাগরিককে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যক্তিরা এখন পাকিস্তানে তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে প্রত্যাবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছেন। পাকিস্তান সরকার ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জাতিসংঘের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
যাদের মধ্যে প্রায় ২,০০০ আফগান নাগরিক জার্মানি দ্বারা স্থানান্তরের জন্য অনুমোদিত ছিলেন, কিন্তু জার্মানির নতুন সরকার কর্তৃক অভিবাসন নীতি পর্যালোচনার জন্য এই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। এই অভিযোগটি ৮ জুলাইয়ের একটি আইনি মতামতের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে বলা হয়েছে যে জার্মান কর্মকর্তারা এই প্রত্যাহারের ঘটনা প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে ফৌজদারিভাবে দায়ী হতে পারেন। এছাড়াও, প্রভাবিত আফগানদের দ্বারা জার্মান ভিসা অনুমোদনের জন্য দায়ের করা ৮০ টিরও বেশি মামলার সাথে এটি যুক্ত হয়েছে, যদিও কিছু আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে, তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপিল করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াডেফুল জানিয়েছেন যে তার মন্ত্রণালয় "এই ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তানি সরকারের সাথে উচ্চ-পর্যায়ের যোগাযোগে রয়েছে"। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা এই ভর্তি কর্মসূচির জন্য কোনো সময়সীমা দিতে পারছে না, তবে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত আসার প্রত্যাশা করছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) পাকিস্তানের এই প্রত্যাহারের পরিকল্পনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা এবং মানবিক ঝুঁকির লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করেছে। UNHCR একটি মানবিক, স্বেচ্ছামূলক এবং পর্যায়ক্রমিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, জার্মান সরকার তাদের নীতি পর্যালোচনা করছে এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রাখছে যাতে আফগানদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় এবং যারা সম্প্রতি নির্বাসিত বা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের দ্রুত সহায়তা প্রদান করা যায়। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে মানবাধিকার এবং সুরক্ষার প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে উঠেছে।