আফগানিস্তানের বেকারত্ব কমাতে তালেবান সরকার কাতারের সাথে একটি শ্রম চুক্তি করেছে। এই চুক্তির অংশ হিসেবে, আগস্ট ২০২৫-এ ১৮০০ জন বেকার আফগান নাগরিককে কাতারে কাজের জন্য নিবন্ধন করা হয়েছে। এটি একটি বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ, যার মাধ্যমে পূর্বে ইরান ও পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত আফগানদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া কাবুলে, কান্দাহার, হেরাত এবং নাঙ্গারহারের মতো প্রধান শহরগুলিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগটি আফগানদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যেখানে ২২টি ভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ভিসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি পূর্বে নিবন্ধিত ৩,১০০ আফগান নাগরিকের জন্য একটি অতিরিক্ত সুযোগ, যারা খাদ্য ও আতিথেয়তা খাতে কাজের জন্য নিবন্ধিত হয়েছিলেন। এই পদক্ষেপটি আফগান কর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার তালেবান সরকারের একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ, যার মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, তুরস্ক এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলির সাথেও শ্রম চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তবে, আফগান শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের এই বড় আকারের ঘটনাটি মানবাধিকার নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে। জাতিসংঘের জুলাই ২০২৫-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আফগানিস্তানে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অভাবের মতো ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে নারী, বালিকারা, প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এই ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তানে ফিরে আসা ব্যক্তিদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি শান্তি ও সামাজিক সংহতি বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের আর্বান হ্যাবিট্যাট বিভাগের কর্মকর্তা স্টেফানি লুস বলেছেন যে ফেরত আসা ব্যক্তিদের বোঝা হিসেবে না দেখে দক্ষ কর্মী হিসেবে দেখা উচিত, যারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, আফগান সরকার বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য অন্যান্য দেশের সাথে সক্রিয়ভাবে শ্রম চুক্তি করছে। আগস্ট ১৩, ২০২৫ পর্যন্ত, আফগান নাগরিকদের মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই উদ্যোগগুলি আফগানদের জন্য একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।