১৪ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, ইউরোপীয় কমিশনার ফর ইকুয়ালিটি, প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট, হাজা লাহিব ঘোষণা করেন যে গাজা থেকে ৩৮ জন রোগী এবং তাদের ৯৯ জন আত্মীয়কে চিকিৎসার জন্য ইউরোপে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই স্থানান্তরটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিভিল প্রোটেকশন মেকানিজমের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। বেলজিয়াম, ইতালি এবং তুরস্ক এই রোগীদের গ্রহণ করেছে, যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ইতালি, সার্বিয়া এবং তুরস্ক পরিবহনে সহায়তা করেছে। লাহিব অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতি তাদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যা গাজার মানবিক সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এই ঘটনাটি গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চলমান সংঘাতের প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। গাজা উপত্যকা দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি অবরোধের অধীনে রয়েছে, যা মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে চিকিৎসা সামগ্রীর প্রবেশাধিকারকে মারাত্মকভাবে সীমিত করেছে। এই অবরোধের ফলে সেখানকার হাসপাতালগুলো ২ মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দার জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে চরম চাপের মধ্যে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে যে গাজায় আরও ১৪,৮০০ রোগীর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন যা উপত্যকার অভ্যন্তরে পাওয়া যাচ্ছে না। সংস্থাটি আরও বেশি দেশকে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা প্রদানের জন্য এগিয়ে আসার এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের দিকে রেফারেল রুটগুলো পুনরুদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছে। এই মানবিক প্রচেষ্টাগুলো সংঘাতের মাঝেও জীবন বাঁচানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটায়। অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযান উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহত এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজার সংঘাতের সময় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আইসিসি-র এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আদালতকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলোর মধ্যে ভিসা বিধিনিষেধ এবং ইসরায়েল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে তদন্তে সহায়তা প্রদানকারী ব্যক্তিদের উপর আর্থিক জরিমানা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।