১৫ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম, গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডো আরেভালো এবং বেলিজের প্রধানমন্ত্রী জন ব্রাইসেন মেক্সিকোর কালাকমুলে একত্রিত হন। সেখানে তারা 'কালাকমুল ঘোষণা' স্বাক্ষর করেন, যা 'গ্রেট মায়া জঙ্গল বায়োকালচারাল করিডোর' প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক রূপ দেয়। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ৫.৭ মিলিয়ন হেক্টরেরও বেশি অঞ্চলের বৃষ্টিঅরণ্য রক্ষা করা, যা এটিকে আমাজনের পর মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। এই চুক্তির মাধ্যমে অবৈধ কাঠ কাটা, বন্যপ্রাণী পাচার, দাবানল, চোরাশিকার এবং দূষণের মতো পরিবেশগত হুমকি মোকাবিলা করা হবে। একই সাথে, পরিবেশবান্ধব পর্যটন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রচারের উপরও জোর দেওয়া হবে।
এই করিডোরটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা যা এই অঞ্চলের পরিবেশগত স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর আওতায় একটি 'সুরক্ষিত অঞ্চল কর্তৃপক্ষ পরিষদ' গঠিত হবে, যেখানে তিন দেশের প্রতিনিধিরা থাকবেন। পরিবেশবাদী সংগঠন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ত্রিনেশনাল উপদেষ্টা গোষ্ঠীও এই উদ্যোগকে সহায়তা করবে, যা করিডোরের কার্যকর ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নেতৃবৃন্দ মায়া ট্রেনের সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা করেন, যা গুয়াতেমালা এবং বেলিজ পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। তবে, গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট আরেভালো জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই সম্প্রসারণ অবশ্যই সুরক্ষিত অঞ্চলগুলি এড়িয়ে চলতে হবে এবং পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার জন্য এই ত্রিনেশনাল সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা বিপন্ন প্রজাতি যেমন জাগুয়ার, স্কারলেট ম্যাকাও, টেপির এবং কেটজালের আবাসস্থল রক্ষা করবে।