ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিকারাগুয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ২০২৬ পর্যন্ত বাড়িয়েছে

সম্পাদনা করেছেন: Татьяна Гуринович

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিকারাগুয়ার চলমান রাজনৈতিক সংকট এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি ২০২৬ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি নিকারাগুয়ার মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের অবনতি অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে নেওয়া হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞাগুলি ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর রয়েছে এবং বর্তমানে ২১ জন ব্যক্তি ও তিনটি নিকারাগুয়ার সত্তাকে লক্ষ্য করে। এর মধ্যে রয়েছে সম্পদ জব্দ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে প্রবেশ ও চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা। ইইউ নাগরিকদের এবং সংস্থাগুলিকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তহবিল সরবরাহ করা থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিকারাগুয়ার মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার, সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলির দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও, তারা দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরে নাগরিক পরিসর সীমিতকরণ, ভিন্নমত প্রকাশের অধিকারকে সম্মান জানানো এবং সকল প্রকার দমন-পীড়ন বন্ধ করার উপর জোর দিয়েছে।

ইইউ নিকারাগুয়াকে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সহযোগিতা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। এই বর্ধিত নিষেধাজ্ঞাগুলি নিকারাগুয়ার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার একটি প্রচেষ্টা, যাতে তারা মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক নীতিগুলির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।

ইইউ-এর এই পদক্ষেপটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে নিকারাগুয়ার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগের প্রতিফলন। ২০১৫ সাল থেকে, নিকারাগুয়ার সরকার মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ক্ষুণ্ন করার জন্য বারবার সমালোচিত হয়েছে। এই বর্ধিত নিষেধাজ্ঞাগুলি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিকারাগুয়ার সরকার মৌলিক মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক নীতিগুলি মেনে না চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত থাকবে।

উৎসসমূহ

  • Deutsche Welle

  • Consejo de la Unión Europea prorroga por un año más las medidas restrictivas

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।