ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই প্রস্তাবে ইউক্রেনকে দোনেৎস্ক অঞ্চলের অবশিষ্ট ৩০% ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছেন যে এই ধরনের আঞ্চলিক ছাড় অসাংবিধানিক এবং এটি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসনকে আরও উস্কে দেবে। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়া ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার গ্রহণযোগ্য নয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারাও রাশিয়ার এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন যে শান্তির যেকোনো পথ ইউক্রেনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে হতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত শক্তি প্রয়োগ করে পরিবর্তন করা যাবে না। একই সময়ে, রাশিয়ান বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে, বিশেষ করে পোক্রোভস্ক শহরের কাছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এই অগ্রগতিগুলি মূল সরবরাহ পথগুলিকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। ইউক্রেনীয় সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, সৈন্য ও অস্ত্রের ঘাটতি এই দুর্বলতার প্রধান কারণ। রাশিয়ার এই তীব্র আক্রমণকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে আসন্ন বৈঠকের (আগামী ১৫ আগস্ট, ২০২৫, আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হবে) আগে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে ইউক্রেনকে এই আলোচনা থেকে বাদ দিলে কিয়েভকে আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে পারে। তারা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় একটি ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক পদ্ধতির আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করছে, যেখানে ইউক্রেনের অংশগ্রহণ এবং তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।