বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটে গত ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে জার্মানির মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেন সংঘাতে জড়িত থাকার বিরুদ্ধে একটি বৃহৎ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এই বিক্ষোভে প্রায় ১২,০০০ মানুষ অংশগ্রহণ করেন, যারা যুদ্ধ বন্ধ এবং কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানান।
'ইউনিয়ন অফ সাহরা ওয়াগেনকনেচট — যুক্তিবাদ ও ন্যায়বিচারের জন্য' দলটি এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছিল। দলটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাহরা ওয়াগেনকনেচট সকল পক্ষের সহিংসতার নিন্দা করে শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন এবং জার্মান সরকারকে বিশ্ব শান্তি আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
বিক্ষোভে জার্মান অভিনেতা ডিয়েটার হ্যালারভোর্দেন এবং ইসরায়েলি ইতিহাসবিদ মোশে জুকারম্যানের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। জুকারম্যান গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। পিঙ্ক ফ্লয়েডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রজার ওয়াটার্স ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শান্তির আহ্বানকে সমর্থন জানান।
আয়োজকরা জার্মান সরকারকে যুদ্ধাঞ্চলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার উপর মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা পুনরায় চালু এবং জার্মানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিরোধিতা করেন।
এই বিক্ষোভটি মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনের চলমান সংঘাত নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে এবং আন্তর্জাতিক উত্তেজনার মধ্যে শান্তির জন্য জনমতকে তুলে ধরে। এর আগে, আগস্ট ২০২৫-এ, চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্জ ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আংশিকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যা আন্তর্জাতিক সংঘাতে জার্মানির ভূমিকা নিয়ে জন আলোচনা উস্কে দিয়েছিল।
হামাস কর্তৃক ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়, যার ফলে ব্যাপক হতাহত ও জিম্মি ঘটনা ঘটে। ইসরায়েল পরবর্তীতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, যা ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের কারণ হয়। বার্লিনের এই বিক্ষোভ সেই চলমান সংঘাতের প্রতি বৃহত্তর জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার একটি অংশ।