স্পেস নরওয়ে এবং সারে স্যাটেলাইট টেকনোলজি লিমিটেড (SSTL) উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে উন্নত রাডার স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে সামুদ্রিক নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি অংশীদারিত্ব ঘোষণা করেছে। এই সহযোগিতার ফলে তৈরি হতে চলা ৪০০ কিলোগ্রামের স্যাটেলাইটটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি পরিকাঠামো, মৎস্য ক্ষেত্র এবং সাবমেরিন কেবলগুলির উপর নজরদারির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যে অঞ্চলগুলিতে বর্তমানে ব্যাপক নজরদারির অভাব রয়েছে। স্যাটেলাইটটি ২০২৭ সালের প্রথম দিকে একটি স্পেসএক্স রাইডশেয়ার মিশনের মাধ্যমে উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
এই অংশীদারিত্বের অধীনে, SSTL স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করবে এবং স্পেস নরওয়ে পেলোড সরবরাহ ও মহাকাশযান পরিচালনা করবে। স্যাটেলাইটটির বিশেষ ক্ষমতা হলো এটি স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ সিস্টেম (AIS) সেন্সরের সাথে সমন্বয় রেখে জাহাজ শনাক্তকরণ এবং ট্র্যাক করার জন্য বিস্তৃত এলাকা জুড়ে উচ্চ-রেজোলিউশনের সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (SAR) ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে। এই C-ব্যান্ড SAR প্রযুক্তি মেঘলা আবহাওয়া বা দিনের আলোর অভাব সত্ত্বেও নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে সক্ষম, যা একে সামুদ্রিক নজরদারির জন্য একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হাতিয়ার করে তুলেছে।
প্রাথমিকভাবে নরওয়েজিয়ান সশস্ত্র বাহিনী এই স্যাটেলাইটটির প্রধান গ্রাহক হবে, তবে অন্যান্য আন্তর্জাতিক গ্রাহকদের জন্যও নজরদারি পরিষেবা উপলব্ধ থাকবে। এই স্যাটেলাইটটি ছয়টি স্যাটেলাইটের একটি প্রস্তাবিত নক্ষত্রমণ্ডলীর প্রথমটি, যার লক্ষ্য হলো প্রতি কয়েক ঘন্টায় উত্তর আটলান্টিকের উপর নজরদারি প্রদান করা। কোম্পানিগুলি অতিরিক্ত গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে আরও স্যাটেলাইট যুক্ত করার সম্ভাবনাও নির্দেশ করেছে।
এই উদ্যোগটি কেবল নরওয়ের জাতীয় নিরাপত্তাই বাড়াবে না, বরং আন্তর্জাতিক নৌ চলাচল এবং সম্পদ সুরক্ষায়ও অবদান রাখবে। নরওয়ের সমুদ্র অঞ্চল তাদের স্থলভাগের সাত গুণেরও বেশি, এবং এই নতুন প্রযুক্তি নরওয়ের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।