সলসবারিতে ৩ থেকে ৫ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রথম সলসবেরি Musick ফেস্টিভ্যাল। এই তিন দিনব্যাপী উৎসবটি মূলত প্রাচীন সঙ্গীতের প্রতি উৎসর্গীকৃত এবং স্থানীয় সঙ্গীতশিল্পীদের দ্বারা আয়োজিত। উৎসবটি সলসবেরির ঐতিহাসিক সঙ্গীত ঐতিহ্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত এবং জোহান ক্রিস্টিয়ান বাখের মতো সুরকারদের অন্তর্ভুক্ত করে।
এই উৎসবে প্রাচীন সঙ্গীত, বিশেষ করে বারোক ঘরানার সুরের পরিবেশনা স্থান পাবে। সলসবেরির মধ্যযুগীয় হল এবং সেন্ট থমাস চার্চের মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে এই সঙ্গীতানুষ্ঠানগুলি অনুষ্ঠিত হবে। এক মনোমুগ্ধকর প্রাচীন সঙ্গীতের অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য হার্পসিকর্ড, লুট এবং প্রাকৃতিক হর্নের মতো সেই সময়ের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হবে।
সলসবারির ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে প্রাচীন সঙ্গীতের সাথে যুক্ত হওয়ার এক অনন্য সুযোগ এই উৎসবটি প্রদান করে। এই আয়োজনটি শহরের সমৃদ্ধ সঙ্গীত ইতিহাস এবং বর্তমান সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে। এটি কেবল একটি সঙ্গীতানুষ্ঠান নয়, বরং এটি সময়ের গভীরে ডুব দিয়ে অতীতের সুরকে নতুন করে আবিষ্কার করার একটি প্রয়াস, যা অংশগ্রহণকারীদের এক ভিন্ন মাত্রার শ্রবণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
এই উৎসবের মাধ্যমে সলসবেরি শহর তার সঙ্গীত ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে। প্রাচীন যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং সেই সময়ের সঙ্গীতশৈলীর প্রতি বিশ্বস্ততা দর্শকদের এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়। এই ধরনের আয়োজনগুলি কেবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেই বাঁচিয়ে রাখে না, বরং স্থানীয় অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করে এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ইউরোপের অন্যান্য ঐতিহাসিক শহরগুলিতে অনুরূপ প্রাচীন সঙ্গীত উৎসবের সময় ১৫-২০% দর্শক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। সলসবেরির মতো ঐতিহাসিক শহরগুলিতে এই ধরনের উৎসবগুলি একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করে, যা শহরটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। উৎসবটি প্রমাণ করে যে, প্রাচীন সুর আজও মানুষের হৃদয় স্পর্শ করতে সক্ষম এবং সময়ের সাথে সাথে এর আবেদন অমলিন থাকে।