বিখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন (৫৬) অবশেষে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় উন্মোচন করলেন। তিনি ওয়েলনেস বিশেষজ্ঞ এবং হিপনোথেরাপিস্ট জিম কার্টিসের (৫০) সঙ্গে তাঁর প্রণয়ঘটিত সম্পর্কের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন। এই ঘোষণাটি আসে ২০২৫ সালের ২ নভেম্বর, যখন অ্যানিস্টন তাঁর নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে কার্টিসের সঙ্গে তোলা প্রথম একটি যুগল ছবি পোস্ট করেন। সাদাকালো সেই ছবিতে এই জুটিকে উষ্ণ আলিঙ্গনে আবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়, যা তাঁদের গভীর সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। অভিনেত্রী ছবিটি পোস্ট করার সময় কার্টিসকে তাঁর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি হৃদয়গ্রাহী বার্তা লেখেন। এই একটি পোস্টের মাধ্যমে বহু মাস ধরে চলতে থাকা সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে।
এই সম্পর্কের গুঞ্জন প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে। সেই সময় পাপারাজ্জিরা তাঁদের স্পেনের মনোরম দ্বীপ মায়োর্কায় একসঙ্গে ছুটি কাটাতে দেখেন। এরপর সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্ক সিটিতে তাঁদের একসঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিতে দেখা যায়, যা তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে তোলে। যদিও কার্টিস সাধারণত প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন, তবুও তিনি অ্যানিস্টনের অভিনীত জনপ্রিয় সিরিজ ‘দ্য মর্নিং শো’-এর চতুর্থ সিজনের প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন। তবে, তিনি সচেতনভাবে লাল গালিচায় হেঁটে জনসমক্ষে আসা এড়িয়ে গিয়েছিলেন, যা তাঁদের সম্পর্কের গোপনীয়তা বজায় রাখার প্রাথমিক প্রচেষ্টার অংশ ছিল।
জিম কার্টিস স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা (Wellness) ক্ষেত্রে একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি নিজেকে একজন রূপান্তরমূলক কোচ, হিপনোথেরাপিস্ট এবং লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর কাজের মূল ভিত্তি হলো বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। তিনি এমন একজন বিশেষজ্ঞ যিনি মানুষের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য কাজ করেন।
কর্মজীবনে কার্টিস বেশ কিছু উচ্চ-পদস্থ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা তাঁর পেশাগত দক্ষতা প্রমাণ করে। তিনি এভরিডে হেলথ (Everyday Health)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পাবলিশার হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও, তিনি ওয়েবএমডি (WebMD)-তে কৌশলগত অংশীদারিত্বের পরিচালক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কার্টিসের এই বিস্তৃত পেশাগত পটভূমি তাঁকে স্বাস্থ্যসেবা শিল্পে একজন নির্ভরযোগ্য পরামর্শদাতা হিসেবে পরিচিত করেছে। ব্যক্তিগত জীবনে, তিনি তাঁর পূর্ববর্তী বিবাহ থেকে জন্ম নেওয়া পুত্র এইডানের (Aidan) জনক। অ্যানিস্টন এবং কার্টিসের এই নতুন সম্পর্ক হলিউডের অন্যতম আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
