শব্দ প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতা ব্যবহার করে ওনকিও কর্পোরেশন এবার খাদ্য ব্যবসায় প্রবেশ করেছে। তাদের নতুন উদ্যোগ 'ম্যাচিউর্ড বাই ওনকিও' (Matured by Onkyo) খাদ্য পরিপক্কতা বৃদ্ধিতে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্ভাবনী পদ্ধতির মাধ্যমে তারা জাপানিজ সাকে (sake) প্রস্তুত করছে।
অ্যান্ডারস্ক্রেচ (Anderskretch), ডি নুয়ঁস (de nuance) এবং ইয়োশিকুরা সেক ব্রুয়ারি (Yoshikura Sake Brewery)-এর সহযোগিতায় ওনকিও 'নে-রো-জাকে' (Né-ro-zake) বা 'ইউই-নে' (Yui-ne) নামে একটি জাপানিজ সাকে তৈরি করেছে। এই বিশেষ সাকেটি তৈরি করার জন্য গায়িকা মিহো ফুকিহারার (Mihho Fukuhara) গান ব্যবহার করা হয়েছে। একটি বিশেষ শব্দ-উৎপাদনকারী যন্ত্রের সাহায্যে সাকে তৈরির পাত্রগুলিতে এই সঙ্গীত বাজানো হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাকে গাঁজন (fermentation) প্রক্রিয়ার সময় তাতে শব্দ তরঙ্গ প্রয়োগ করা হয়, যা সাকে-এর স্বাদ ও গুণমান বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে মনে করা হচ্ছে। ওনকিও এই পদ্ধতির জন্য পেটেন্টও অর্জন করেছে।
এই নতুন সাকেটির একটি প্রিভিউ বা প্রদর্শনীমূলক মুক্তি ৫ই অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজিত হবে। পরবর্তীতে এটি ডি নুয়ঁস-এর ই-কমার্স সাইট 'ওটোইরো সাকে অনলাইন শপ' (Otoiro Sake Online Shop)-এ পাওয়া যাবে।
শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ একটি নতুন ধারণা হলেও, এটি খাদ্য শিল্পে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। যেমন, আল্ট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাদ্যবস্তুর গঠন উন্নত করা, স্বাদ বৃদ্ধি করা এবং সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। এই প্রযুক্তি খাদ্যবস্তুর মধ্যে থাকা অণুজীব ধ্বংস করতেও সক্ষম। জাপানে সাকে শিল্পে নতুনত্ব আনা হচ্ছে, যেখানে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্যের মান উন্নত করার চেষ্টা চলছে। ২০২৫ সালে জাপানিজ সাকে বাজার প্রায় ১৮৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে নতুন উদ্ভাবনগুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই ধরনের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওনকিও সাকে শিল্পে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে চাইছে, যা বিশ্বজুড়ে সাকে প্রেমীদের কাছে একটি নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।