খাদ্যদ্রব্য সঠিকভাবে গলানো বা ডিফ্রস্ট করা খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ২০২৫ সাল নাগাদ, নিরাপদ খাদ্য গলানোর পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রেফ্রিজারেটরে গলানো অন্যতম। এই পদ্ধতিতে প্রতি ৫ পাউন্ড খাদ্যের জন্য প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং গলানো খাদ্য ১ থেকে ৫ দিনের মধ্যে রান্না করা উচিত, যা খাদ্যের ধরনের ওপর নির্ভর করে।
দ্রুত বিকল্প হিসেবে ঠান্ডা জল ব্যবহার করে খাদ্য গলানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে খাদ্যকে একটি সিল করা প্যাকেটে ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখতে হয় এবং প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর জল পরিবর্তন করতে হয়। এই পদ্ধতিতে গলানো খাদ্য সঙ্গে সঙ্গে রান্না করা আবশ্যক। মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে গলানো ছোট আকারের খাদ্যের জন্য উপযুক্ত, তবে গলানোর পরপরই তা রান্না করে ফেলা উচিত।
যেসব পদ্ধতি এড়িয়ে চলা উচিত তার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে সাধারণ তাপমাত্রায় খাদ্য গলানো। কারণ, এতে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে। গরম জল বা ডিশওয়াশারে খাদ্য গলানোও নিরাপদ নয়। খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বা গরম জলে খাদ্য গলানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, খাদ্যের বাইরের অংশ দ্রুত উষ্ণ হয়ে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশে পরিণত হয়, যদিও ভিতরের অংশ তখনও হিমায়িত থাকতে পারে। এই 'বিপদজনক অঞ্চল' (৫°C থেকে ৬০°C বা ৪১°F থেকে ১৪০°F) ব্যাকটেরিয়ার দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সহায়ক, যেখানে ২০ মিনিটের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। তাই, খাদ্য গলানোর সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি।
হিমায়িত অবস্থায় থাকা খাদ্য সরাসরি রান্না করা যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে রান্নার সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি যেমন আল্ট্রাসাউন্ড এবং ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক ফিল্ড ব্যবহার করে খাদ্য গলানোর নতুন পদ্ধতি নিয়েও গবেষণা চলছে। এই পদ্ধতিগুলি প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত এবং খাদ্যের গুণমান বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে, তবে এগুলি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।