শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এর ভোরে হাওয়াইয়ের কিলোয়া আগ্নেয়গিরিতে একটি নতুন অগ্ন্যুৎপাত পর্ব শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে তীব্র আকার ধারণ করেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (USGS) জানিয়েছে যে এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে শিখরস্থ ভেন্টে উল্লেখযোগ্য লাভা উদগীরণ দেখা যাচ্ছে। এই বর্ধিত কার্যকলাপের কারণে, USGS আগ্নেয়গিরি সতর্কতা স্তরকে 'ওয়াচ' এবং বিমান চলাচল কোডকে 'অরেঞ্জ'-এ উন্নীত করেছে।
স্থানীয় সময় ভোর ৩:১১ মিনিটে অগ্ন্যুৎপাতটি শুরু হয়েছিল, যা লাভা উদগীরণের একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এবং ভূমিকম্পের কম্পন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোর ৪টার মধ্যে, লাভা উদগীরণ প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছিল, যা জুলাই মাসের ২৮তম পর্বের পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী কার্যকলাপ। এই লাভা উদগীরণ মূলত উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও, ভোর ৪টায় একটি দক্ষিণ ভেন্ট থেকেও লাভা নির্গত হতে শুরু করে, যা একটি নিচু গম্বুজ তৈরি করে এবং একটি লাভা প্রবাহকে পুষ্ট করে। তবে, এই দক্ষিণ ভেন্টের কার্যকলাপ কয়েক মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় এবং লাভা পুনরায় ভেন্টের মধ্যে প্রবেশ করে। বর্তমানে সমস্ত কার্যকলাপ হাওয়াই আগ্নেয়গিরি জাতীয় উদ্যানের শিখর ক্যালডারার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
এই অগ্ন্যুৎপাতের পর্বগুলি প্রায়শই কয়েক ঘন্টা থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং এগুলি সাধারণত কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে ঘটে। ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ থেকে শুরু হওয়া এই অগ্ন্যুৎপাত পর্বে, লাভা উদগীরণ প্রায়শই দেখা গেছে, যা ১৯৮৩-৮৬ সালের পু'উ'ও'ও অগ্ন্যুৎপাতের প্রথম দিকের পর্বগুলির মতো। লাভা উদগীরণগুলি দুটি ভেন্ট থেকে হচ্ছে, যা উত্তর ভেন্ট এবং দক্ষিণ ভেন্ট নামে পরিচিত।
আগ্নেয়গিরির গ্যাস নির্গমনের হার সাধারণত ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টন প্রতিদিন থাকে, তবে গ্যাস পিস্টনিং-এর সাথে সাথে এই হার স্বল্প সময়ের জন্য পরিবর্তিত হতে পারে। অগ্ন্যুৎপাতের সময় লাভা উদগীরণ থেকে উৎপন্ন লাভা ঝরনা এবং লাভা প্রবাহের ফলে আগ্নেয়গিরির ছাই ও লাভা কণা তৈরি হয়, যা 'পেলে'স হেয়ার' নামে পরিচিত। এই সূক্ষ্ম কাঁচের তন্তুগুলি ত্বক এবং চোখে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে, তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই অগ্ন্যুৎপাতটি হাওয়াই আগ্নেয়গিরি জাতীয় উদ্যানের শিখর ক্যালডারার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও, এর প্রভাব আশেপাশের এলাকার উপর পড়তে পারে। তবে, হাওয়াই কাউন্টির বাণিজ্যিক বিমানবন্দরগুলি (KOA এবং ITO) এই কার্যকলাপ দ্বারা প্রভাবিত হবে না। USGS ক্রমাগত কিলোয়া আগ্নেয়গিরির উপর নজর রাখছে এবং যেকোনো পরিবর্তনের বিষয়ে জনসাধারণকে অবহিত করবে।