সাবান্কায়া আগ্নেয়গিরি: সতর্কতা স্তর কমলাতে উন্নীত

সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Martynovska 17

পেরুর সাবান্কায়া আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের কার্যকলাপ বৃদ্ধির কারণে সতর্কতা স্তর কমলাতে উন্নীত করা হয়েছে। এই পরিবর্তনটি আগ্নেয়গিরির ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত, যা স্থানীয় সম্প্রদায় এবং পরিবেশের উপর সম্ভাব্য প্রভাব ফেলতে পারে।

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে, সাবান্কায়া আগ্নেয়গিরি থেকে ৫,০০০ মিটার (প্রায় ১৬,৪০০ ফুট) উচ্চতার একটি ছাইয়ের মেঘ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি আগ্নেয়গিরির মধ্যে বিস্ফোরণ, ছাইয়ের বিস্তার এবং পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহের মতো উল্লেখযোগ্য কার্যকলাপের সাথে যুক্ত ছিল। পেরুর ন্যাশনাল ভলকানোলজিক্যাল সেন্টার (Cenvul) নিকটবর্তী জেলাগুলির জন্য একটি ছাই বিস্তারের সতর্কতা জারি করেছে, যার উদ্দেশ্য হল বায়ুর গুণমান এবং দৈনন্দিন জীবনের উপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা। আগ্নেয়গিরির ছাই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং বিমান চলাচলের জন্য একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, কারণ এটি বিমানের ইঞ্জিনগুলির ক্ষতি করতে পারে এবং দৃশ্যমানতা হ্রাস করতে পারে।

কমলা সতর্কতা স্তর আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে, যার মধ্যে রয়েছে ভূমিকম্পের কার্যকলাপ বৃদ্ধি, ঘন ঘন বিস্ফোরণ এবং উল্লেখযোগ্য উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম ছাইয়ের অবিরাম নির্গমন। এই পরিস্থিতিগুলি আগ্নেয়গিরির আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের জন্য একটি সতর্কতামূলক বার্তা বহন করে, যা তাদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। সাবান্কায়া আগ্নেয়গিরিটি ২০০৩, ২০০০, ১৯৯৮, ১৯৯০-৯৫, ১৯৮৮, ১৯৮৬, ১৭৮৪ এবং ১৭৫০ সালে অগ্ন্যুৎপাত সহ ঐতিহাসিকভাবে সক্রিয় রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিয়মিত অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, যেখানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে স্ট্রম্বোলিয়ান বিস্ফোরণ এবং নতুন লাভা গম্বুজ গঠনের মতো ঘটনাও দেখা গেছে।

আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের প্রভাব কেবল স্থানীয় পরিবেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং এটি বিমান চলাচলের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। ছাইয়ের সূক্ষ্ম কণাগুলি বিমানের ইঞ্জিনগুলিতে প্রবেশ করলে উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে এসে গলে যেতে পারে, যা ইঞ্জিনের কার্যকারিতা হ্রাস করে এবং গুরুতর ক্ষতি করতে পারে। তাই, বিমান সংস্থাগুলিকে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের মেঘের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয় এবং প্রয়োজনে তাদের ফ্লাইট রুট পরিবর্তন করতে হয়। অতীতে, আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের মেঘের কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা বিমান সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় উদ্বেগ।

উৎসসমূহ

  • Canal N

  • The Watchers

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।

সাবান্কায়া আগ্নেয়গিরি: সতর্কতা স্তর কমলা... | Gaya One