মালভার্ন পাহাড়ের আকাশে একটি দ্রুতগামী, রহস্যময় বস্তুর ছবি ক্যামেরাবন্দী হওয়ার ঘটনাটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে এবং এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অ্যান্ড্রু ক্লিফটন নামের এক ব্যক্তি ২ আগস্ট, তার পাঁচ বছরের ল্যাব্রাডর কুকুর ড্যাশের সাথে মালভার্ন পাহাড়ে ঘোরার সময় এই বস্তুটি দেখতে পান। তিনি ড্যাশের ফ্রিসবি খেলার ভিডিও ধারণ করছিলেন, তখনই তিনি আকাশে একটি অত্যন্ত দ্রুতগামী, অচেনা বস্তুকে দেখতে পান। বস্তুটি প্রথমে তার নজরে না এলেও, পরে ভিডিওটি স্লো-মোশনে দেখতে গিয়ে তিনি এটি সনাক্ত করেন।
এই ভিডিওটি একটি ইউএফও (অচেনা উড়ন্ত বস্তু) দেখার ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করার পর তা লক্ষ লক্ষ বার দেখা হয়েছে, যার মধ্যে একটি সূত্রে ৭ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়েছে। অ্যান্ড্রু ক্লিফটন নিজে এই ঘটনায় হতবাক এবং তিনি মনে করেন এটি কোনো অজানা সামরিক সরঞ্জাম হতে পারে। তবে, তিনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি বস্তুটি কী ছিল। এই ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা মতের সৃষ্টি হয়েছে; কেউ এটিকে ভিনগ্রহের যান বলছেন, কেউ উন্নত সামরিক প্রযুক্তি, আবার কেউ নিছক একটি তীর বা আতশবাজি বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মালভার্ন পাহাড়ের এই অঞ্চলটি পূর্বেও রহস্যময় আকাশযানের উপস্থিতির জন্য পরিচিত। গত বছর, একই এলাকায় একটি উজ্জ্বল হলুদ আলো আকাশে ভেসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। এই পূর্ববর্তী ঘটনাগুলো বর্তমান ঘটনাটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে এবং এই অঞ্চলে ইউএফও দেখার প্রবণতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই উন্নত সামরিক পরীক্ষা বা প্রাকৃতিক ঘটনার কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে বলে মনে করেন, তবে বস্তুর গতি এবং আকৃতি অনেককেই ভিনগ্রহের প্রাণীর আগমনের সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করতে উৎসাহিত করেছে। ইউএফও সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থাগুলো এই ঘটনাটিকে আরও খতিয়ে দেখছে, যা মহাকাশে প্রাণের অস্তিত্ব এবং আমাদের অজানা প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি করেছে।