হাই সিজ চুক্তি অনুমোদিত: ২০২৬ সাল থেকে সমুদ্রের গভীরে সুরক্ষা

সম্পাদনা করেছেন: Inna Horoshkina One

আন্তর্জাতিক জলসীমার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি যুগান্তকারী চুক্তি, যা হাই সিজ চুক্তি নামে পরিচিত, ৬০টি দেশের অনুমোদনের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে, যা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার জন্য আইনি সুরক্ষা প্রদান করবে এবং সামুদ্রিক শাসনব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা করবে।

২০২৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মরক্কো কর্তৃক চুক্তিটি অনুমোদিত হওয়ার ফলে ১২০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমুদ্রের গভীরে জীববৈচিত্র্য রক্ষার অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। এই চুক্তিটি সামুদ্রিক জিনগত সম্পদ, পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন এবং সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা প্রতিষ্ঠার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর ছয়টি সদস্য রাষ্ট্র একসাথে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে, যা এ পর্যন্ত বৃহত্তম যৌথ অনুমোদন। এই সম্মিলিত পদক্ষেপ সমুদ্র সংরক্ষণে ইউরোপের নেতৃত্বকে জোরদার করে। চুক্তির বাস্তবায়নের সাথে সাথে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা স্থাপন সহজতর হবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ৩০% এলাকা সংরক্ষণের বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।

চুক্তির কার্যকারিতা শুরুর এক বছরের মধ্যে প্রথম কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস (COP) অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা এর পরিচালনা ও বাস্তবায়নে দিকনির্দেশনা দেবে। এই চুক্তিটি কেবল একটি আইনি কাঠামোই নয়, বরং এটি একটি সম্মিলিত অঙ্গীকার যা আমাদের গ্রহের সমুদ্রের স্বাস্থ্য এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য। এটি জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

এই চুক্তির মাধ্যমে, আন্তর্জাতিক জলসীমার সম্পদ সকলের জন্য ন্যায্যভাবে ভাগ করে নেওয়া এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ সমুদ্র নিশ্চিত করার পথ প্রশস্ত হবে।

উৎসসমূহ

  • Mongabay

  • World Resources Institute

  • European External Action Service

  • United Nations BBNJ Agreement

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।