গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদের নির্যাস কম ঘনত্বের পলিথিন (LDPE) প্লাস্টিক বর্জ্যকে দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে। এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিটি হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদানের সাহায্যে কাজ করে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিককে ভেঙে ফেলতে সক্ষম।
অধ্যাপক সুটকার এবং তার সহকর্মীদের (২০২৫) একটি গবেষণা থেকে জানা যায় যে, সেদ্ধ হলুদের মূল থেকে তৈরি নির্যাস পরীক্ষাগারে LDPE প্লাস্টিকের ভাঙন প্রক্রিয়াকে উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করেছে। উন্নত বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের গঠনে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে, যা উদ্ভিদবিদ্যা এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে একটি আশাব্যঞ্জক সমন্বয় নির্দেশ করে।
এই পদ্ধতিটি সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য হওয়ায় বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ সমস্যা সমাধানে একটি টেকসই সমাধান দিতে পারে। হলুদের মতো কৃষি বর্জ্য ব্যবহার করে, বিভিন্ন সম্প্রদায় পরিবেশগত স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এবং প্লাস্টিকের পদচিহ্ন কমাতে পারে। এটি পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগের একটি মডেল তৈরি করে।
যদিও এই উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রতিকার কৌশলকে বড় পরিসরে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে এই ফলাফলগুলি প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের বিশাল সম্ভাবনা তুলে ধরে। আরও গবেষণা এবং সহায়ক নীতি কাঠামো এই ধরনের উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলিকে জাতীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় একীভূত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা একটি সবুজ ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করবে। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদের ব্যবহার বায়োপ্লাস্টিকের বৈশিষ্ট্য উন্নত করতে পারে।
তবে, হলুদের অতিরিক্ত ব্যবহার প্লাস্টিকের শক্তি বাড়ালেও এর বায়োডিগ্রেডেশন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। হলুদের কারকিউমিন নামক উপাদানটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন, যা প্লাস্টিকের ক্ষয় রোধে সহায়ক হতে পারে।
প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হলুদের মতো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের এই গবেষণা পরিবেশ সুরক্ষায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এই পদ্ধতিটি কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার জন্য আরও গবেষণা এবং নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।