মহাকাশচারীরা বর্তমানে 3I/ATLAS নামক এক আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তুকে নিয়ে আলোচনা করছেন, কারণ এর কিছু বৈশিষ্ট্য এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এটি বুদ্ধিমান নিয়ন্ত্রণের অধীনে থাকতে পারে। এই আবিষ্কারগুলি এর প্রকৃত প্রকৃতি সম্পর্কে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। হার্ভার্ডের জ্যোতির্পদার্থবিদ অ্যাভি লোয়েব এবং তার সহকর্মীরা 3I/ATLAS-এর অ-মহাকর্ষীয় ত্বরণের একটি উর্ধ্বসীমা প্রকাশ করেছেন। পর্যবেক্ষণ করা গ্যাস নিঃসরণের সাথে তুলনা করলে, এই তথ্য বস্তুটি কমপক্ষে ৩৩ বিলিয়ন টন ভরের হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়। [৬, ৭, ১০] এই আনুমানিক ভর পূর্বের যেকোনো পরিচিত ধূমকেতুর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, যা প্রচলিত ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করে। লোয়েব উল্লেখ করেছেন যে, দুর্বল অ-মহাকর্ষীয় ত্বরণ এবং উল্লেখযোগ্য ভর হারানোর সংমিশ্রণটি অস্বাভাবিক, যা এর উৎস নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছে। [৩] সূর্যের কাছাকাছি আসার সাথে সাথে 3I/ATLAS আরও রহস্যময় আচরণ প্রদর্শন করেছে। টেলিস্কোপগুলি হঠাৎ করে আসা বহিরাগত বিকিরণ এবং রঙের নাটকীয় পরিবর্তন সনাক্ত করেছে, যার ফলে ধূমকেতুর চারপাশের গ্যাসীয় আবরণ (coma) উজ্জ্বল সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। [২৬] এটি সূর্যের দিকে মুখ করে থাকা একটি আলোকসজ্জা সহকারে ঘটেছিল, যা একটি সাধারণ ধূমকেতুর লেজের মতো নয়। ফটোগ্রাফার এবং অপেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই আভাটির striking ছবি তুলেছেন, যা বিজ্ঞানীরা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার দ্বারা ট্রিগার হওয়া একটি থ্রেশহোল্ড-সদৃশ প্রক্রিয়া হিসাবে বর্ণনা করেছেন। [২৪] এই সম্মিলিত অস্বাভাবিকতাগুলি - অপ্রত্যাশিত ভর এবং আকস্মিক সক্রিয়তা - কিছু পর্যবেক্ষকদের 3I/ATLAS-কে একটি কৃত্রিম প্রোব বা প্রযুক্তিগত নিদর্শন হিসাবে প্রস্তাব করতে উৎসাহিত করেছে। লোয়েব মনে করেন যে এই বৈশিষ্ট্যগুলি প্রযুক্তিগত অনুমানের গুরুতর বিবেচনাযোগ্যতা দাবি করে। [৫] যদিও নাসা প্রাকৃতিক ব্যাখ্যাগুলির সম্ভাবনা বজায় রেখেছে, কিছু পর্যবেক্ষক ইউএফও (UFO) ঘটনার পর্যবেক্ষণের সাথে এর তুলনা করছেন। মূল প্রশ্নটি হল, 3I/ATLAS-এর প্রকৃত প্রকৃতি কি উন্মোচিত হবে?
3I/ATLAS, যা C/2025 N1 (ATLAS) নামেও পরিচিত, এটি ১ জুলাই, ২০২৫ সালে চিলির রিও হার্টাডোতে অবস্থিত অ্যাস্টেরয়েড টেরিস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (ATLAS) স্টেশন দ্বারা আবিষ্কৃত তৃতীয় আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু। [১, ৩, ৮, ১১, ২০] এর গতিপথ অত্যন্ত উচ্চ, যা এটিকে সৌরজগতের বাইরে থেকে আগত বলে নিশ্চিত করে। [৪] এটি ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসবে, যা পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের মাঝে অবস্থিত। [১, ৩, ১১] জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা 3I/ATLAS-এর অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে এর কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ গ্যাসীয় আবরণ এবং একটি অদ্ভুত সূর্যমুখী লেজ, যা সাধারণ ধূমকেতুর আচরণের সাথে মেলে না। [৪, ১৩, ১৭, ২৮] এই সমস্ত পর্যবেক্ষণগুলি মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে এবং মহাবিশ্বের গভীরতম রহস্যগুলি উন্মোচনের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
হার্ভার্ডের জ্যোতির্পদার্থবিদ অ্যাভি লোয়েব এবং তার সহকর্মীদের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, 3I/ATLAS-এর ভর ৩৩ বিলিয়ন টনের বেশি হতে পারে, যা এটিকে একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে। [৬, ৭, ১০] এই বিশাল ভর, এর দুর্বল অ-মহাকর্ষীয় ত্বরণের সাথে মিলিত হয়ে, এটিকে একটি সাধারণ ধূমকেতুর চেয়ে ভিন্ন করে তোলে। [৩, ৭] কিছু বিজ্ঞানী প্রস্তাব করেছেন যে এই বৈশিষ্ট্যগুলি একটি কৃত্রিম উৎসের ইঙ্গিত দিতে পারে, যদিও নাসা প্রাকৃতিক ব্যাখ্যাগুলির সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়নি। [৫, ৯] 3I/ATLAS-এর কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ গ্যাসীয় আবরণ এবং এর উজ্জ্বল সবুজ আভা বিজ্ঞানীদের মধ্যে আরও আগ্রহ সৃষ্টি করেছে, কারণ এটি আমাদের পরিচিত ধূমকেতুগুলির থেকে ভিন্ন আচরণ প্রদর্শন করছে। [৪, ২৬, ২৭] এই অস্বাভাবিকতাগুলি মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে এবং নতুন গবেষণার দ্বার উন্মোচন করছে।