আবু ধাবির স্যার বানি ইয়াস দ্বীপে প্রায় ১৪০০ বছরের পুরনো একটি খ্রিস্টান ক্রুশ আবিষ্কৃত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগ এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের কথা নিশ্চিত করেছে। ক্রুশটি একটি প্রাচীন গির্জা ও মঠের কাছে অবস্থিত আঙ্গিনা ঘরগুলির মধ্যে খননকার্যের সময় একটি দেয়াল-সজ্জার অংশ হিসেবে পাওয়া গেছে। এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি খ্রিস্টীয় সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীর, যা এই অঞ্চলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে।
প্রাপ্ত ক্রুশটি প্রায় ২৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ১৭ সেন্টিমিটার চওড়া। এটি স্থানীয় মোটিফ এবং মধ্যপ্রাচ্যের শিল্পকলার প্রভাব প্রদর্শন করে, যার মধ্যে গোলগোথার চিত্রণও রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক মারিয়া গাজেভস্কা উল্লেখ করেছেন যে এর নকশার উপাদানগুলি উপসাগরীয় অঞ্চল এবং মেসোপটেমিয়ার প্রত্নবস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। স্যার বানি ইয়াস দ্বীপের গির্জা ও মঠ কমপ্লেক্সটি সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল এবং ১৯৯০-এর দশকের প্রথম দিকে এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়।
এই স্থানটি এই অঞ্চলের প্রাথমিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করে। এখানে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুগুলি আরব উপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের মধ্যে বাণিজ্যের ইঙ্গিত দেয়। এই বছরের খননকার্যে প্রধান গির্জা ও মঠের উত্তর দিকের আঙ্গিনা ঘরগুলির উপর আলোকপাত করা হয়েছিল। ক্রুশটির পাশাপাশি পাওয়া মাটির পাত্র এবং কাঁচের পাত্রগুলি এই দ্বীপের প্রাথমিক খ্রিস্টীয় কার্যকলাপের কেন্দ্র হিসেবে এর গুরুত্ব তুলে ধরে।
সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খলিফা আল মুবারক বলেছেন যে এই আবিষ্কারটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহাবস্থান এবং সাংস্কৃতিক উন্মুক্ততার মূল্যবোধের একটি প্রমাণ। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এই অঞ্চলের ইতিহাসের গভীরে প্রোথিত, যা এই আবিষ্কারের মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণিত হলো।