কাউয়াই দ্বীপে প্রায় এক শতাব্দী পর দুটি বিরল স্থানীয় স্থল শামুক, গডউইনিয়া ক্যাপেরাটা (Godwinia caperata) এবং হিয়োনা এক্সাকুয়াটা (Hiona exaequata) পুনরায় আবিষ্কৃত হয়েছে। এই আবিষ্কারটি বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
হাওয়াই দ্বীপের স্থল শামুকগুলি বিশ্বব্যাপী বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে অন্যতম। ঐতিহাসিকভাবে হাওয়াইয়ে ৭৫০টিরও বেশি প্রজাতির স্থল শামুক ছিল, কিন্তু বিজ্ঞানীদের অনুমান অনুযায়ী, এই জীববৈচিত্র্যের ৯০% পর্যন্ত ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই শামুকগুলি হাওয়াইয়ান সংস্কৃতিতে গভীর তাৎপর্য বহন করে এবং 'বনের কণ্ঠস্বর' হিসেবে গান ও গল্পে সম্মানিত হয়। প্রতিটি জীবিত প্রজাতি লক্ষ লক্ষ বছরের বিবর্তন এবং গভীর সাংস্কৃতিক সংযোগের প্রতীক। গভর্নর জশ গ্রিন ২০২৩ সালকে 'কাহুলি বর্ষ' হিসেবে ঘোষণা করেছেন, যা এই শামুকগুলির সংরক্ষণ প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরে।
এই পুনরায় আবিষ্কৃত শামুকগুলিকে বর্তমানে বিশপ মিউজিয়ামের পুপু ওলা: কাহুলি সুরক্ষা গবেষণা কেন্দ্রে (Pūpū Ola: Kāhuli Protective Rearing Research Center) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাদের বেঁচে থাকার উপর গবেষণা অন্যান্য বিপন্ন প্রজাতিদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। এই শামুকগুলির বেঁচে থাকা হাওয়াইয়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষার চলমান প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরে।
এই উদ্ধারকার্য সম্ভব হয়েছে বিশপ মিউজিয়াম, কাউয়াই ফরেস্ট বার্ড রিকভারি প্রজেক্ট, সরকারি সংস্থা, শিক্ষক এবং স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বহু বছরের সহযোগিতার ফলে। এই আবিষ্কারটি প্রমাণ করে যে, নিরন্তর গবেষণা, সম্প্রদায়িক অংশীদারিত্ব এবং সংরক্ষণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিলুপ্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশা এখনও বিদ্যমান।