অভিনেত্রী ইভা লংগোরিয়া, ৫০ বছর বয়সেও, তারুণ্যদীপ্ত জীবনীশক্তি বজায় রাখার জন্য মিনি-ট্রাম্পোলিনে করা রিবাউন্ডিং ব্যায়ামকে একটি প্রধান উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০-৪৫ মিনিটের সেশন করেন এবং এর ব্যাপক উপকারিতার উপর জোর দেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, রিবাউন্ডিং জগিংয়ের চেয়ে ফিটনেসের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি কার্যকর, অথচ এটি হৃদয় ও জয়েন্টগুলির উপর অনেক কম চাপ সৃষ্টি করে। এই ব্যায়াম কার্ডিওভাসকুলার সহনশীলতা, অঙ্গবিন্যাস, ভারসাম্য এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। রিবাউন্ডিং লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকেও উন্নত করে, যা রোগ প্রতিরোধক কোষের সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে।
লংগোরিয়া এটিকে একটি মজাদার, চাপ-মুক্ত ব্যায়াম হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা আঘাতের ঝুঁকি কমায় এবং তার দীর্ঘস্থায়ী তারুণ্যের জন্য অবদান রাখে। রিবাউন্ডিং-এর একটি বিশেষ দিক হলো এটি শরীরের প্রতিটি কোষকে উদ্দীপিত করে, যা কোষীয় স্তরে পুনরুজ্জীবনে সহায়তা করে। এটি কেবল শারীরিক সুস্থতাই বাড়ায় না, বরং মানসিক স্বচ্ছতা এবং শক্তির মাত্রাও বৃদ্ধি করে। এই ব্যায়ামটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৮০ সালে নাসা (NASA) কর্তৃক পরিচালিত একটি গবেষণা বিশেষভাবে উল্লেখ্য, যেখানে রিবাউন্ডিং-এর শারীরিক উপকারিতাগুলো প্রমাণিত হয়েছিল। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, রিবাউন্ডিং মহাকাশচারীদের মহাকাশে পেশী এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। এটি পৃথিবীর অভিকর্ষের অভাবজনিত প্রভাবগুলির বিরুদ্ধে একটি কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এই তথ্যটি রিবাউন্ডিং-এর গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে, কারণ এটি কেবল বিনোদনমূলকই নয়, বরং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত একটি স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম পদ্ধতি।