দিপিন্দর গোয়ালের 'কন্টিনিউ রিসার্চ' ফাউন্ডেশন কর্তৃক বার্ধক্য বিষয়ক মৌলিক গবেষণায় ২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ

সম্পাদনা করেছেন: Liliya Shabalina

দিপিন্দর গোয়াল, যিনি জোম্যাটো এবং ব্লিংকিটের মূল সংস্থা ইটারনালের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), মানব দীর্ঘায়ু সংক্রান্ত মৌলিক অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য তার ব্যক্তিগত সম্পদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিনিয়োগ করেছেন।

প্রায় দুই বছর আগে একটি গবেষণা উদ্যোগ হিসেবে চালু হওয়া তাঁর 'কন্টিনিউ রিসার্চ' প্রকল্পটি সম্প্রসারণের জন্য তিনি ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছেন। গোয়ালের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত এই পদক্ষেপটি মানবদেহের সুস্থ কার্যকারিতা সময়কাল বাড়ানোর বিষয়ে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।

'কন্টিনিউ রিসার্চ'-কে কোনো গতানুগতিক স্টার্টআপ হিসেবে দেখা হয় না। বরং এটি একটি গবেষণা দল এবং বীজ তহবিল হিসেবে কাজ করে, যার লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে সেইসব বিজ্ঞানীদের সমর্থন করা যারা বার্ধক্য জীববিজ্ঞানের গভীর প্রশ্নগুলি নিয়ে কাজ করছেন।

গোয়াল মনে করেন যে মানুষের স্বল্প আয়ুষ্কাল 'স্বল্পমেয়াদী সিদ্ধান্ত'-এর দিকে পরিচালিত করে এবং সমাজের চিন্তাভাবনাকে সংকুচিত করে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এটিকে সভ্যতার অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি এই বহু-দশকের মিশনকে ভবিষ্যতের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন।

এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সুস্থ কার্যকারিতা সময়কালকে দীর্ঘায়িত করা, যাতে সম্মিলিত সিদ্ধান্তগুলি আরও বেশি দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে।

এই উদ্যোগ এমন ক্ষেত্রগুলিতে অর্থ ঢালছে যা প্রায়শই ঐতিহ্যবাহী অর্থায়নের আড়ালে ঢাকা পড়ে থাকে। ঐতিহ্যবাহী অর্থায়ন সাধারণত নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসার উপর মনোনিবেশ করে, বার্ধক্যের মূল কারণগুলির উপর নয়। যদিও অন্যান্য বিলিয়নিয়াররাও কোষ পুনরুজ্জীবন (cell rejuvenation) প্রকল্পগুলিতে সমর্থন জুগিয়েছেন, গোয়ালের ব্যক্তিগত অবদান দীর্ঘায়ুর গতিপথ পরিবর্তন করতে সক্ষম মৌলিক লিভারগুলি খুঁজে বের করার উপর জোর দেয়। 'কন্টিনিউ রিসার্চ' একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে চাইছে। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা দলগুলিকে সমর্থন জুগিয়ে থাকে, যারা স্বাস্থ্য অপটিমাইজেশন এবং প্রতিরোধমূলক কল্যাণের (preventive well-being) উপর কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে কোষীয় পুনর্জন্ম (cellular regeneration), বিপাকীয় স্বাস্থ্য (metabolic health) এবং দীর্ঘায়ু জীববিজ্ঞানের অন্যান্য দিকগুলি।

যদিও বিগত বছরগুলিতে বিশ্বজুড়ে দীর্ঘায়ু বায়োটেকনোলজিতে বিনিয়োগ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, তবুও যুগান্তকারী কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ গবেষণাকে সমর্থন করার জন্য 'আমূল অর্থায়ন কৌশল'-এর তীব্র প্রয়োজন রয়েছে।

এই ধরনের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এটি এমন বিজ্ঞানের প্রতি বৃহত্তর মনোযোগ আকর্ষণ করে, যা কেবল জীবনকে দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্য রাখে না, বরং অসুস্থতার সময়কালকে সংকুচিত করে জীবনের উচ্চ মান নিশ্চিত করতে চায়। গোয়াল যেমনটি উল্লেখ করেছেন, এই প্রকল্পের সমস্ত ফলাফল সমগ্র বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

উৎসসমূহ

  • Devdiscourse

  • The Economic Times

  • Moneycontrol

  • The Times of India

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।