নতুন পশুর আগমনে পরিবারে আনন্দ ও স্বস্তি আসে, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। তারা তাদের নতুন সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, আলিঙ্গন এবং খেলার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়। এই বন্ধন শিশুদের মানসিক সুস্থতা বাড়াতে এবং সহানুভূতি তৈরিতে সাহায্য করে। অনেক বাবা-মায়ের জন্য, সন্তানদের পশুর সাথে সুখী হওয়া একটি বড় প্রাপ্তি।
তবে, একটি নতুন গবেষণা অনুযায়ী, এক তৃতীয়াংশের বেশি প্রাথমিক তত্ত্বাবধায়ক এই অভিজ্ঞতা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি জটিল বলে মনে করেছেন। প্রথমবার পশুর আগমনে পরিবারগুলির জন্য শিশু এবং কুকুরের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া পরিচালনা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। পশুর যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব ভাগাভাগি করা, রুটিন তৈরি করা এবং অতিরিক্ত খেলা বা মনোযোগ চাওয়ার মতো আচরণগুলি পরিচালনা করা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রায় সব শিশু পশুর সাথে এমনভাবে মেলামেশা করেছে যা কামড়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে সান্ত্বনা খোঁজার সময় অতিরিক্ত জড়িয়ে ধরা বা তীব্র শারীরিক স্পর্শ। অতিরিক্ত চাপ বা নিরাপত্তাহীনতায় থাকা কুকুর আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, কখনও কখনও পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কামড় দিতে পারে। এটি শিশুদের নিরাপদভাবে কুকুরের সাথে মেলামেশার নিয়ম শেখানো এবং তাদের মিথস্ক্রিয়া তত্ত্বাবধান করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পশুর যত্নের দায়িত্বের অসম বন্টন। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৯৫% প্রাথমিক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন মহিলা, এবং অনেক মা এই কাজের ভারে অভিভূত বোধ করেছেন। যে সকল বাবা-মা পশুকে তাদের রুটিন সহজ করার আশা করেছিলেন, তারা প্রায়শই দেখেছেন যে এটি অতিরিক্ত প্রচেষ্টা এবং চাপ তৈরি করেছে।
গবেষকরা জোর দিয়ে বলেছেন যে পশুর শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যের সুবিধার জন্য আনা উচিত নয়। পশুর আগমনের আগে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি, পশুর প্রয়োজনীয় যত্ন এবং প্রশিক্ষণের উপলব্ধতা নিয়ে আলোচনা করা উচিত। বিশেষ করে প্রথম কয়েক মাসে স্পষ্ট সীমা নির্ধারণ এবং তত্ত্বাবধানের সুপারিশ করা হয়েছে। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের পশুর সাথে ভিন্ন ভিন্ন বন্ধন তৈরি হতে পারে তা বোঝা, দ্বন্দ্ব এবং হতাশা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এই নতুন সঙ্গীর আগমনে আনন্দ যেমন আসে, তেমনই আসে নতুন দায়িত্ব ও শেখার সুযোগ, যা পরিবারকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।